ওসি বদলেও লাভ হল না, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দে ফেরཧ উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরভূমের কাঁকড়তলা থানা। এবার কাজল শেখ ও অনুব্রত মণ্ডল গোষ্ঠীর সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক তৃণমূলকর্মীর। ঘটনা কাঁকড়তলা থানা এলাকার বড়রা গ্রামের। নিহত তৃণমূলকর্মী শেখ নিয়ামউলের দেহে একাধিক গুরুতর আঘাত রয়েছে। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্ন উঠছে পুলিশি তৎপরতা নিয়ে।
সপ্তাহখানেক আগে বালিঘাটের দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল কাঁকড়তলা থানা এলাকার জামালপুর গ্রাম। মুহুর্মুহু বোমা বৃষ্টির ছবি টিভির পর্দায় দেখেছে গোটা😼 রাজ্যবাসী। তার পর বদলি করা হয় কাঁকড়তলা🌺 থানার ওসি পূর্ণেন্দু বিকাশ দাসকে। তাঁর জায়গায় কাঁকড়তলা থানার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় দুবরাজপুর থানার ওসি শুভাশিস হালদারকে। কিন্তু তার পরও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দে বিরাম পড়ল কই?
শুক্রবার রাতে অনুব্রত ও কাজল গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাঁকড়তলার বড়রা গ্রাম। দু’পক্ষই একে অপরের ওপর রড ও বাঁশ নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে আহত হন শেখ নিয়ামউল নামে এক তৃণমূলকর্মী। রডের আঘাতে শরীরের একাধিক জায়গায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য🎃কেন্দ্রে নিয়ে যান পরিজনরা। ꦅসেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সিউড়ি সদর হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তাঁকে কলকাতার দিকে নিয়ে রওনা হন পরিজনরা। পথেই মৃত্যু হয় শেখ নিয়ামউলের।
এই ঘটনায় বীরভূমে আইন-শৃঙ্খলা🐭 ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। বার বার একই ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কেন পদক্ষেপ করছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। কেষ্ট - কাজল মুখে পরস্পরের প্রতি সৌজন্য দেখালেও কেন তাঁদের✤ সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন, থাকছে সেই প্রশ্নও।