ꦉআখতার আলি। আরজিকর আন্দোলনের সময় বার বার সামনে এসেছিল এই নাম। একের পর এক দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। আরজি করের তৎকালীন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ তিনিই সামনে এনেছিলেন। এবার সেই আখতার আলিকে বদলি করা হল উত্তর দিনাজপুরে।
ꩲকালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ডেপুটি সুপার( নন মেডিক্যাল) পদে তাঁকে বসানো হয়েছে। এর আগে তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার( নন মেডিক্যাল) পদে ছিলেন।
তবে তিনি দাবি করেছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য তাঁকে হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে বদলি করা হয়েছিল। পরে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বদলি করা হয়। কিন্তু সেই সময় সন্দীপ ঘোষ আখতার আলিকে আরজি কর𝓡 থেকে রিলিজ দেননি। প্রায় ৫২দিন ধরে এভাবেই কাটিয়েছেন। এটা আসলে ইচ্ছা করেই তাঁর সার্ভিস ব্রেক করা হয়েছিল। তবে এবার তাঁকে বদলি কালিয়াগঞ্জে। তবে সূত্রের খবর, এটাকে রুটিন বদলি বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার ছিলেন আখতার আলি💝। তখন থেকেই তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন। তার জেরেই সন্দীপ ঘোষের রোষানলে পড়েন তিনি। তাঁকে নানাভাবে সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকী তিনি গোটা বিষয়টি উপরমহলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় কেউ কানে কথা নেয়নি বলে তাঁর দাবি।
𝔉গত বছরের অগস্ট মাস। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে মুখ খুলেছিলেন আখতার। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতারি আলি সেই সময় জানিয়েছিলেন, 'তিনি( সন্দীপ ঘোষ) ছিলেন অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। আরজিকর মেডিক্যাল ফেল করানো, টেন্ডার থেকে কমিশন নেওয়া, হস্টেল থেকে টাকা নেওয়া, পয়সা খাওয়া, গেস্ট হাউজে স্টুডেন্টদের নিয়ে মদ খাওয়া, আবার তাদের দিয়েই আন্দোলনে নামানো সবটা করান ওই মানুষটি। পুরো কেরিয়ারে এমন বাজে লোক কোনও দিন দেখিনি। ওর নিরাপত্তায় ছিলেন ২০জন। চারজন বাউন্সার ছিলেন। ফিল্ম স্টারদের দেখতাম বাউন্সার নিয়ে চলে। কিন্তু কোনও প্রিন্সিপালকে এভাবে বাউন্সার নিয়ে চলত দেখিনি। প্রচন্ড প্রভাবশালী মানুষ। আমি ২০২৩ সালের তাঁর বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্সে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তাঁর বদলি হয়েছিল। তারপরে আবার সেই অর্ডার বদলে গেল। সব নাটক ওনার। তিনি আবার পেটোয়া স্টুডেন্টদের দিয়ে আন্দোলন করান। এর আগে তিনি একটা বিষয়ে এক মাস ধরে আন্দোলন করিয়েছিলেন। এগুলো সব তার আইওয়াশ। তিনি আবার ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হয়ে গেলেন। তবে আমি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। '