♈ মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলনের নামে তাণ্ডবে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে সরকারি মাঠে অনুষ্ঠিত একটি সভা থেকে। ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ইমাম – মোয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েন নামে এক সংগঠন জঙ্গিপুরে PWD মাঠে এই সভার আয়োজন করেছিল। সভায় হাজির ছিলেন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া ও অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস (APDR) এর নেতারাও।
♏প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওই সভার ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সেখানে একের পর এক নেতা প্ররোচনামূলক বক্তব্য রেখেছেন। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাক্রমের কথা উল্লেখ করে মানুষকে উত্তেজিত করেছেন তাঁরা। সেখানে APDR নেতা রাহুল চক্রবর্তীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘বাংলাদেশকে দেখে আমাদের শেখা উচিত। সেখানে বিজেপির বি - টিম শেখ হাসিনাকে কী ভাবে ক্ষমতা থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে।’
ꦐসেই সভায় বিভিন্ন বক্তাকে বলতে শোনা যায়, ‘এবার ওরা মৌমাছির চাকে ঢিল মেরেছে। তাই আমাদেরও মৌমাছির মতো হিংস্র হয়ে উঠতে হবে। মোদী - অমিত শাহকে ততক্ষণ দংশন করতে হবে যতক্ষণ না ওরা দেশ ছেড়ে পালায়।’ কেউ বলেন, ‘ওরা বাবরি মসজিদ নিয়ে নিয়েছে। আমরা চুপ করে ছিলাম। ওরা মুসলিমদের অত্যাচার করেছে, আমরা চুপ করে ছিলাম। কিন্তু এখন ঘুমন্ত বাঘ জেগে উঠেছে।’ কেউ বলেন, ‘ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদে রক্ত দিতে হবে। আমাদের তা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে।’ শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন সভার বক্তারা। অনেকেই বলেন, ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কারা জিতবে তা নির্ভর করছে কে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করছে তার ওপর। যারা সংসদে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সওয়াল করেছে তাদের ভোট দিন।’
♑অভিযোগ, এই সভার পরই গত মঙ্গলবার জঙ্গিপুরের উমরপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তাণ্ডব শুরু হয়। যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে জেলার অন্যত্রও।
🃏বলে রাখি, নিষিদ্ধ সংগঠন PFIএর রাজনৈতিক শাখা হিসাবে পরিচিত এই SDPI.