শনিবার সন্ধ্য♒ের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা স্ক্রল করতে করতে চমকে উঠেছিলেন অনেকেই। ভেবেছিলেন, কী, ঠিক পড়ছি তো! আচমকাই অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ডিভোর্সের কথা ঘোষণা করেন স্ত্রী পৃথা চক্রবর্তী। সুদীপের থেকে তাঁর ২৫ বছরের ছোট পৃথা লেখেন, ‘আমরা আর একসঙ্গে নেই। আমি আর সুদীপ মুখোপাধ্যায় আইনি ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ নিলাম। তবে আমরা সারাজীবন বন্ধু থাক💛ব।’
আর এখবর পড়ার পরপরই মুখ চাওয়া-চাওয়ি শুরু করেছিলেন পরিচিত ও নেꦓটিজেনরা। তবে এতো গেল পৃথার কথা, কিন্তু সুদীপ? তাঁর কী বক্তব্য?
আনন্দবাজারের কাছে 'চিরসখা'র স্বতন্দ্র বোস অর্থা🉐ৎ সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বিন্দুবিসর্গ বুঝতে পারছি না, পৃথা এটা কী করছে! কিছুই জানি না’। সুদীপ জানিয়েছেন তিনি এই মুহূর্তে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত। যদিও বেশকিছুদিন ধরেও সুদীপের সোশ্য🦂াল মিডিয়াতেও ইঙ্গিতবাহী কিছু পোস্ট চোখে পড়েছিল। কখনও লিখেছিলেন 'ডিটাচমেন্ট', কখনও লেখেন, ‘হতে দাও’। এখন প্রশ্ন, তবে কি বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়েই পোস্টগুলি করেছিলেন অভিনেতা?
তবে সඣুদীপের কথায়, সমস্যা সকলের জীবনেই থাকে, তাই তাঁদের জীবনেও আছে। শুধু তাই নয়, অভিনেতা জানিয়েছেন দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁরা🍰 এখনও এক ছাদের তলাতেই আছেন।
একসময় ভালোবেসেই একে-অপরের হাত ধরেছিলেন সুদীপ ও পৃথা। দুজনের বয়সের ফারাক প্রায় ไ২৫ বছরের। যদিও এতটা পার্থক্য সত্ত্বেও সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি তাঁগেপ সম্পর্কে। শোনা যায়, নাকি পৃথার তরফ থেকেই নাকি এসেছিল প্রথম প্রেমের প্রস্তাব। ততদিনে দামিনীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। ব্যস, আর কী! শুরু হয়ে যায় আরেক রূপকথার সফর।তাঁদের দুই ছেলেও রয়েছে-- ঋদ্ধি আর বালি। তবে কী এমন হল হঠাৎ করে দাম্পত্যে ইতি টানতে হচ্ছে এই দম্পতিকে?
প্রসঙ্গত, দামিণী বেণি বসু-র সঙ্গে একসময় ৮ বছরের দাম্পত্য ভেঙে বেরিয়ে আসেন সুদীপ। তখন তাঁদের মেয়ে চিনির বয়স ছিল মাত্র ৭। ২০১৩ সালে সেই সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন তাঁরা। আর তার দু বছর পর, ২০১৫ সালে বিয়ে করেন সুদীপ ও পৃথা। তবে বিয়ের বয়স ১০ ✨হওꦦয়ার আগেই, এই বিয়েও ভাঙার খবর শোনা যাচ্ছে।
(পৃথা চক্রবর্তী এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ডিভোর্স সংক্রান্ত এই প্রতিবেদনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টের প্রেক্ষিতে লেখা হয়েছিল। পরে ওঁদের তরফে দাবি করা হয়েছে, ডিভোর্স নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় করা মন্তব্য আসলে ছিল ঠাট্টা।)