উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ায় পুলিশকে গুলি করে পলাতক আসামি সাজ্জাক আলমকে শনিবারই এনকাউন্টারে খতম করেছে রাজ্য পুলিশ। এবার তাকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগে ১ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত শেখ হজরত ঘটনার দিন মোটরসাইকেলে করে সাজ্জাককে পালাতে সহযোগিতা করেছিল বলে অভিযোগ। ধৃতকে জেরা করে এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল ওরফে আওয়ালের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।গত বুধবার প্রস্রাব করার নামে প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে ২ পুলিশ কর্মীকে গুলি করে পালায় সাজ্জাক নামে এক খুনের আসামি। ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় পুলিশকে গুলি করার পর রাস্তার পাশ দিয়ে দৌড়াচ্ছে সে। কিছুদূর গিয়ে একটি মোটরসাইকেলে উঠে পড়তে দেখা যায় তাকে। মোটরসাইকেলটি আগে থেকেই সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। এই ছবি দেখার পর ঘটনা যে পূর্ব পরিকল্পিত তা স্পষ্ট হয়ে যায় পুলিশের কাছে। ঘটনার পরই সাজ্জাকের খোঁজে নামে পুলিশ। সঙ্গে কে, কোথায় তার হাতে বন্দুক পৌঁছে দিল তা জানার চেষ্টা শুরু করেন তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে মোটরসাইকেল চালকের খোঁজেও শুরু হয় তল্লাশি। বৃহস্পতিবার জানা যায় জেল লক আপে আবদুল ওরফে আওয়াল নামে এক বাংলাদেশি দুষ্কৃতী সাজ্জাকের হাতে অস্ত্র পৌঁছে দিয়েছিল। আর যার মোটরসাইকেলে করে সাজ্জাক পালিয়েছিল তার নাম হজরত।শনিবার রাতে গোয়ালপোখর থানা এলাকা থেকেই অভিযুক্ত হজরতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। ধৃতকে জেরা করে অভিযুক্ত আওয়ালের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।