🌌 আজ জন্মদিন ছিল মেয়ের। আবদার করেছিল কেকের। কিন্তু নভেম্বরে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। ধর্ষণ করে খুন করা হয় মেয়েকে। আর গুড়াপের পাঁচ বছরের সেই শিশুকে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় ৫৫ দিনের মাথায় দোষীকে ফাঁসির সাজা দিল চুঁচুড়া পকসো আদালত। আর তারপরই আদালতের বাইরে কাঁদতে-কাঁদতে প্রায় সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন মা। তিনি বলেন, ‘আমি ওটাই চেয়েছিলাম, যাতে ফাঁসি হয়। খুবই আনন্দ হচ্ছে। কিন্তু মেয়ে তো আমার কাছে নেই। আজ মেয়ের জন্মদিন ছিল। ছয় বছর হত। বলেছিল, মা আমার কেক লাগবে। তাকে আমি কেকটা দিতে পারলাম না।’
যেন দ্রুত ফাঁসি হয়, আর্জি বাবার
♏আর সেটা বলতে-বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। কার্যত সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। কিছুক্ষণ পরে তিনি বলেন, ‘পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে। সবটা পুলিশের উপরে ছেড়ে দিয়েছিলাম।’ আর বাবা আর্জি জানিয়েছেন, এবার উচ্চ আদালতে মামলা গেলে যেন দ্রুত শুনানি হয়। যত দ্রুত সম্ভব দোষীকে ফাঁসির শাস্তি কার্যকরের আর্জি জানিয়েছেন বাবা।
৫৫ দিনের মধ্যে ফাঁসির সাজা
♔তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় শুক্রবার যে প্রৌঢ়কে ফাঁসির সাজা দিয়েছেন চুঁচুড়া পকসো আদালতের বিচারক চন্দ্রপ্রভা চক্রবর্তী, সে আদতে প্রতিবেশী ছিল। গত ২৪ নভেম্বর বাড়ির সামনে শিশুকন্যাকে খেলতে বাবা বাজারে গিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু বাড়ি ফিরে মেয়েকে দেখতে পাননি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেয়েকে খুঁজতে থাকেন। সেইসময় শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার করা হয় প্রতিবেশী প্রৌঢ়়ের বাড়ি থেকে। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
🎶১) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দু'সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
২) ১১ ডিসেম্বর চার্জ গঠন করা হয়।
ꩵ৩) ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। বুধবার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়। প্রৌঢ়কে দোষীসাব্যস্ত করেন বিচারক।
৪) শুক্রবার ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হল।
মাংস চেয়েছিল, সেটাও দিতে পারিনি, আক্ষেপ মায়ের
🦂শুক্রবার যখন সাজা ঘোষণার জন্য প্রৌঢ়কে আদালতে পেশ করা হচ্ছিল, তখনই তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়ে দোষী। কোনওক্রমে তাকে সেখান থেকে নিয়ে চলে যায় পুলিশ। স্লোগান ওঠে ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই।’ আর শেষপর্যন্ত প্রতিবেশী এবং পরিবারের দাবিপূরণ হয়েছে। আর তারপর মা জানান, ঘটনার দিন মেয়ে মাংস খেতে চেয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘সেটাও দিতে পারিনি। পুকুরের জলে ফেলে দিতে হয়েছে।’