রাজ্যে যে দল গত প্রায় ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে, এলাকায় যে দলের নয়-নয় করে চারজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বসত ও রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে,সেই দলের নেতাকর্মীরাই কিনা হিংসার আগাম আঁচ পেলেন না? বস্তুত, তাণ্ডব যে ছড়াতে চলেছে, সেটা আগে থেকে বিন্দুমাত্র অনুমানই করতে পারেননি মুর্শিদাবাদের বাসিন൲্দা, তথা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা! কীভাবে এমনটা ঘটল? তা নিয়ে শাসক দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে বলে দাবি সূত্রের।
এমনকী, তৃণমূল কংগ্র꧙েস সূত্রে এও শোনা যাচ্ছে যে এই গোটা ঘটনায় দলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং 'দাপুটে' নেতাদের আগে থেকে ওয়াকিবহাল না থাকা নিয়ে নাকি বেজায় চটেছেন সুপ্রিমো স্বয়ং। সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরাও হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন, এ নিয়ে আগামী দিনে দলীয় নেতৃত্বের অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে তাঁদের। কিন্তু, সেইসব প্রশ্নের জবাব আদৌ কি তাঁদের জানা আছে?
সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জিতলেও পরবর্তীতে তৃণমূলে নাম লেখান এলাকার তরুণ রাজনীতিক বাইরন বিশ্বাস। তাঁকে সংবাদমাধ্যমে খোলাখুলি স্বীকার করতে দেখা গিয়েছে যে তিনি আগে থেকে হিংসার এতটুকুও আঁচ পাননি! তাঁর কথায়, 'আমরা আগে থেকে আঁচ করতে পারিনি। আগে থেকে খবর পেলে তো এ ঘটনা ঘটতেই দিতাম না। কিন্তু বিন্দুমাত্র আমরা খবর পাইনি। বড় শিক্ষাꦉ হল এট🎉া থেকে। আর যাতে (এমনটা) না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখব।'
তবে, শুধু বাইরন নন। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের যেসমস্ত এলাকায় হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জ কিংবা ধুলিয়ানের আশপাশেই থাকেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তত চারজন জনপ্রতিনিধি। এঁরা হলেন - জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, সাগরদিঘির বিধায়ক 🌳বাইরন বিশ্বাস, ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম এবং সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। এঁদের মধ্য়ে প্রথম তিনজনের বাড়ি রতনপুর এলাকায়। আর চতুর্থজন থাকেন পুঁটিমারি এলাকায়।
এখন যে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে উঠছে, তা হল - এলাকার বিধায়ক ও সাংসদরা (তাও আবার রাজ্যের♚ শাসকদলের) কেন আগে থেকে হিংসার আঁচ পেলেন না? তাহলে কি তৃণমূলের তৃণমূলস্তরের কর্মীদের সঙ্গেই উ𒁃পরতলার নেতাদের কোনও সমন্বয় নেই? নাকি সামগ্রিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতাকর্মীই স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেন না? নাকি, স্থানীয় বাসিন্দারা তৃণমূলের বদলে অন্য়ান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উপর আস্থা রাখতে শুরু করে দিয়েছেন? এর মধ্যে যদি একটি প্রশ্নেরও উত্তর 'হ্যাঁ' হয়, তাহলে সেটা তৃণমূলের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তির বিষয়। বিশেষ করে যেখানে বছর ঘুরলেই বিধানসভার নির্বাচন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চব্বিশেরඣ লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের অন্তর্গত সামশেরগঞ্জ বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের জোটের থেকে প্রায় ১৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল ঘাসফুল শিবির। আবার, ওই একই নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে ধুলিয়ান পুরসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস ছিল তিন নম🐈্বরে।