এবার মদনবাণে অস্বস্ত꧑িতে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠল। কারণ এমনিতেই কাউন্সিলরদের উপর নানা চাপ রয়েছে। তার উপর মদন মিত্রের এমন নিদান বেশ ভাবিয়ে তোলার মতো বিষয়। কারণ মদন মিত্র দলের সিনিয়র নেতা। তার উপর একজন বিধায়ক। তবে এখন দলের মধ্যে কিছুটা কোণঠাসা। যদিও বিতর্൲কিত মন্তব্য করা তাঁর মেজাজি ভাবধারার অঙ্গ। কারও বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে ছাড়েন না কামারহাটির বিধায়ক। বেলঘরিয়ার একটি অনুষ্ঠানে এসে সেই মেজাজেই দেখা গেল কালারফুল নেতাকে।
মদন মিত্র এবার যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে। আর এই ভূমিকা নিতে বলেছেন দলের কর্মী–সমর্থকদের। সুতরাং কাউন্সিলরদের সঙ্গে সরাসরি সংঘাওত লাগতে চলেছে দলীয় কর্মীদের। তাতে দলের ক্ষতি হতে পারে। এই কথা বলার পর থেকে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কারণ মদন মিত্র বলেন, ‘কোনও কাউন্সিলর যদি আপনাদের চাকর ভাবে, পাত্তা দেবেন না। তৃণমূলের পোশাক খুলে নিলে ওই সব কাউন্সিলররা খেতে পাবেন না।’ অর্থাৎ কোনও কারণে যদি দলের কোনও কর্মীর সঙ্গে কাউন্সিলর খারাপ ব্যবহার করেন,𝓡 তাহলে তাঁকে পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই।
আরও পড়ুন: ‘কয়লাখনি পর্যটন’ গড়ে তুলতে উৎসাহী কেন্দ্রীয় সরকার, বাংলা থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলল
তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে অন্তরকলহ আছে। তাই তো ফিরহাদকে আক্রমণ করেন হুমায়ুন কবীর। তার সঙ্গে দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও রয়েছে। সে কথা শোনা গিয়েছিল খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। তারপরই মদন মিত্রের কথায় এখন জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। এবার দলীয় কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মদনবাণ আরও চাপ বাড়িয়ে দিল। কারণ ওই সভা থেকে মদন মিত্রের বক্তব্য, ‘কোনও কাউন্সিলর যদি আপনাদের ꧂তুল্যমূল্য বিচার করেন, চাকর–বাকর মনে করেন, কোনও কিছুর পরোয়া করেন না, সেই সব কাউন্সিলরদের পাত্তা দেওয়ার কোনও দরকার নেই। সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমিই কাউন্সিলরদের কায়দা করে দেব।’
এই কাউন্সিলরদের কায়দা করে দেওয়ার বিষয়টি আসলে দেখে নেওয়ার কৌশল বলে এখন মনে করা হচ্ছে। তা নিয়ে কাউন্সিলরদের মধ্যেও জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বাড়িতে বসে থাকা নেতারা সাধারণ মানুষের আশীর্বাদেই কাউন্সিলর হয়েছেন বলেও তোপ দাগেন কামারহাটির বিধায়ক। মদন মিত্রের কথায়, ‘মানুষের আশীর্বাদেই গায়ে শাল জড়িয়ে কাউন্সিলর হয়ে গিয়েছে এঁরা। কাﷺল যদি গা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কাপড়টা কেড়ে নেওয়া হয়, খেতে পাবে না। অনেকে আছেন আমি জানি। এখানে প্রেস আছে হয়তো। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলবেন, আমি বলেছি। কোনও কাউন্সিলরকে পরোয়া করার দরকার নেই।’