♚ হাতিটি দলছুট হয়ে লোকালয়ে চলে আসে। আর তাকে দেখতে কৌতূহলী জনগণ ভিড় করেন। তখনই হাতির আক্রমণে মারা গেলেন এক বৃদ্ধ। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমনকী জখম হলেন এক গ্ৰাম পঞ্চায়েত সদস্য–সহ এক নির্মাণ শ্রমিকও। আজ, রবিবার দাঁতন থানার আঙ্গুয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মালপাড়া মোয়ারুই গ্ৰামে হাতির আক্রমণে মারা যান ওই বৃদ্ধ। মৃত ওই বৃদ্ধের নাম রাম মুর্মু (৭৩)। বাড়ি দাঁতন থানার আঙ্গুয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ললিতাপুর গ্ৰামে। এখানেই জখম হয়েছেন আঙ্গুয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের পলাশিয়া গ্ৰাম সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য জয়নারায়ণ প্রধান এবং এক নির্মাণ শ্রমিক।
🐎বাংলায় হাতির সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। সে কথা বিধানসভায় জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের রাখার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল। গ্ৰাম পঞ্চায়েত সদস্য জয়নারায়ণ প্রধানকে ওড়িশার বালেশ্বরে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্মাণ শ্রমিককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ, রবিবার ঝাড়গ্ৰামের নয়াগ্ৰাম থেকে চারটি শাবক –সহ মোট ১৮টি হাতির পাল সুবর্ণরেখা নদী পার করে পলাশিয়া গ্ৰামে ঢুকে পড়ে। তার পর সেখানে এসে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের নির্মীয়মান একটি পাম্পের এক নির্মাণ শ্রমিককে জখম করে। সেখান থেকে ঢুকে পড়ে ললিতাপুর গ্ৰামে। তারপর মালপাড়া মোয়ারুই গ্ৰামে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন: তমলুকে দুটি সমবায় সমিতির নির্বাচনেই ব্যাপক জয় তৃণমূল কংগ্রেসের, বিজেপি ধরাশায়ী
রাজ্য সরকার এখন হাতিদের জন্য পৃথক করিডর করার কথা ভাবছে। যাতে মানুষ মারা না যায়। আজ হাতি দেখতে কৌতূহলী মানুষজন ভিড় করেন। তখন একটি হাতি দল থেকে বেরিয়ে পড়ে। আর মানুষজনকে তাড়া করে। হাতির সামনে পড়ে যান ওই বৃদ্ধ।🃏 আর তাঁকে তখন শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে আছাড় মারে গজরাজ। তারপর পিষে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। আঙ্গুয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী পলাশিয়া, ললিতাপুর, মালপাড়া মোয়ারুই–সহ কয়েকটি গ্ৰামে হাতির দল তাণ্ডব চালায়। ঘটনাস্থলে আসে বন দফতরের খড়্গপুর বিভাগের অতিরিক্ত আধিকারিক চিন্ময় বর্মণ, বেলদা রেঞ্জের আধিকারিক তৌহিদ আনসারি এবং বড় সংখ্যায় বনকর্মী ও হুলা পার্টির সদস্যরা।
এরপর দাঁতন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মাইকিং শুরু করে। আজ বিকেলে হাতির দলকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সুবর্ণরেখা নদী পার করিয়ে ওড়িশার জঙ্গলের দিকে চলে যায়। এই বিষয়ে বন দফতরের খড়্গপুর বিভাগের অফিসার মণীশ যাদব বলেন,♏ ‘ওড়িশার দিকে হাতির দলকে পাঠানো হয়েছে। ওখানের মানুষজন ব্যারিকেড করে হাতির দলকে আটকানোর চেষ্টা করছে।’ মৃতের বাড়িতে গিয়েছিলেন দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান। তাঁর বক্তব্য, ‘মৃত ব্যক্তির পরিবারকে নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আঙ্গুয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে সাহায্য করতে বলা হয়েছে।’