অর্থনৈতিক ভাবে বেহাল দশা ভারতের পড়শি বাংলাদেশের। বিশ্বব্যাঙ্কের দ্বারা সদ্য প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি নেমে ৪.১ শতাংশে ঠেকবে। আবার সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কমিয়েছে মুডি'স। আর তা নিয়েই কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথাগত রায়। বাংলাদেশকে তোপ দেগে তিনি বলেছেন, 'ইসলামপন্থীরা যখন পশ্চিমবঙ্গ, সেভেন সিস্টার্স, ওড়িশা ইত্যাদিকে সংযুক্ত করার বিষয়ে দিবাস্বপ্ন দেখছে, মুডি’স রেটিং তখন তাদের রেটিং কমিয়ে দিয়েছে।' (আরও পড়ুন: 😼চিনা JF-17 পেতে পাকিস্তানের কাছে হাত পাতল বাংলাদেশ, তুলনায় কতটা এগিয়ে রাফাল?)
আরও পড়ুন: 𓆉'রামকৃষ্ণ মিশনেও জঙ্গি থাকতে পারে', বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই নিয়ে তথাগত রায় সম্প্রতি লেখেন, 'ইসলামপন্থীরা যখন পশ্চিমবঙ্গ, সেভেন সিস্টার্স, ওড়িশা ইত্যাদিকে সংযুক্ত করার বিষয়ে দিবাস্বপ্ন দেখছে, তখন গত সোমবার মুডি’স রেটিং বাংলাদেশের সার্বভৌম রেটিং কমিয়েছে। বর্ধিত রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং নিম্ন প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে এই রেটিং কমিয়েছে তারা।' তথাগত রায় এই নিয়ে আরও লেখেন, 'রেটিং এজেন্সি বাংলাদেশের রেটিং B1 থেকে B2-তে নামিয়ে এনেছে। বাংলাদেশ নিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিকে 'স্থিতিশীল' থেকে 'নেতিবাচক'-এ নামিয়ে এনে তাদের আবর্জনা অঞ্চলের তালিকায় আরও গভীরে পাঠিয়েছে মুডি'স। রাওয়ান্ডা, কম্বোডিয়া এবং মঙ্গোলিয়ার মতো দেশগুলিকে এই গ্রেডে রেট দেওয়া হয়ে থাকে।' (আরও পড়ুন: 🀅RG Kar LIVE: ‘অন্য অপরাধীদের কী হবে?’ আরজি কর মামলায় রায়ের আগে উঠেছে প্রশ্ন)
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরেও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বেড়েছিল বেশ কিছুটা। সম্প্রতি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের থেকে ৫০ কোটি ডলার ঋণের অঙ্ক যোগ হয়েছে বাংলাদেশের পকেটে। এই আবহে ডিসেম্বরের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ (আইএমএফ-এর বিপিএম৬ গণনা পদ্ধতিতে) বেড়ে ২১.৩৩ বিলিয়ন ডলার হয়। এর আগে গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশের রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলারে। (আরও পড়ুন: ꦡবাংলাদেশের ভোট নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে, পড়শিদের নিয়ে প্রশ্নের মুখে কী বলল ভারত?)
♑এদিকে ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি আরবিআই জানিয়েছে, ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৬৪৪.৩৮ বিলিয়ন ডলার। ১৩ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের রিজার্ভ প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কমে যায়। এদিকে ভারতীয় রিজার্ভ কমলেও বাংলাদেশের তুলনায় তা ৩০ গুণ। এদিকে বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে রেমিট্যান্সের। ভারতের রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের দেশে পাঠানো অর্থের পরিমাণ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সম্মিলিত বাজেটের প্রায় সমান। গোটা বিশ্বে রেমিট্যান্সের নিরিখে ভারতই শীর্ষে থাকে। আর ২০২৪ সালেও সেই তকমা ভারতের কাছেই থাকে। ২০২৪ সালে ভারতে রেমিট্যান্স বাবদ ১২৯ বিলিয়ন ডলার এসেছে। যা পাকিস্তান (৬৭ বিলিয়ন ডলার) এবং বাংলাদেশের (৬৮ বিলিয়ন ডলার) এই অর্থবর্ষের বাজেটের যোগফলের প্রায় সমান।