🍷 এখন কয়েকদিনের অশান্তির পর সেখানে শান্তি ফিরছে। নববর্ষের সকাল থেকেই অন্য মেজাজ দেখা যাচ্ছে সেখানে। দোকানপাঠ, বাজারহাট খুলতে শুরু করেছে। পুলিশের কড়া নজরদারি এবং বিএসএফের টানা টহল সেখানে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। হ্যাঁ, ওটা মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান। এখন সেখানে যেতে চান বিরোধী দলনেতা। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে সেখানে যেতে পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না। কারণ আবার সেখানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটুক চায় না পুলিশ। তার উপর এখনও ১৬৩ ধারা সামশেরগঞ্জে জারি রয়েছে। যদিও ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়েছে। এই পুলিশের অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ তুলে এবার ধুলিয়ান যাওয়ার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী।
🐼আজ, বুধবার দুপুরে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুভেন্দু অধিকারীর আবেদনের শুনানি হবে। সেখানে সামশেরগঞ্জে আজ, বুধবার নতুন করে বোমার আঘাতে দু’জন আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এমনকী ধুলিয়ান পুরসভায় একটি দোকানে আগুন লাগে বলেও খবর। তবে শর্ট সাকিট থেকেই ওই আগুন লাগে বলে দাবি পুলিশের। ওয়াকফ আইনের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের সুতি, সামসেরগঞ্জ, ধুলিয়ান। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে রুটমার্চ করে বিএসএফ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আধাসেনা সেখানে রয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। তবে শুভেন্দু অধিকারী যাওয়ার অনুমতি পায় কিনা সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: ‘একসঙ্গে এটার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে’, ওয়াকফ আইন নিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে আহ্বান মমতার
নবাবের জেলায় ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ চরম আকার নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে সেখানে অন্যান্য দলের নেতা–নেত্রীরা গিয়েছেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে তাঁর দাবি। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য,ജ অন্য দলের নেতা–নেত্রীরা ধুলিয়ানে গিয়েছেন। কিন্তু শুভেন্দু সেখানে প্রবেশ করতে পুলিশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করলেও অনুমতি মেলেনি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুনানি শুরু হতে চলেছে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। কদিন আগে মালদার মোথাবাড়িতেও যেতে পুলিশের অনুমতি না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু।
ইতিমধ্যেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় যে হিংসা, হামলা, রক্তপাত হয়েছে সেটা পূর্ব পরিকল্পিত। বিজেপি এবং বিএসএফ লোক ঢুকিয়ে এসব করেছে। তিনি খুঁজে বের করবেন এসবের পিছনে কারা আছে।𒀰 তবে এখন সেখানে শান্তি ফিরে এসেছে। ধুলিয়ানে ঘরছাড়াদের জন্য ক্যাম্প করতে চায় একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা। কিন্তু জেলাশাসক অনুমতি দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই জেলাশাসকের অনুমতির মামলা বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হবে।