🌼ফাঁসি নয়, আমৃত্যু কারাদণ্ড হল সঞ্জয় রায়ের। গোটা দেশ কার্যত অপেক্ষা করছিল এই দিনটার জন্য। সঞ্জয় রায়ের কী সাজা দেওয়া হয় সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন বহু মানুষ। অবশেষে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল শিয়ালদা আদালত।
꧂এদিকে সোমবার সকাল থেকেই ঠান্ডাগলিতে সঞ্জয় রায়ের ঘরের দরজা ছিল ভেতর থেকে বন্ধ। সম্ভবত ঘরের ভেতর তার মা রয়েছেন। বাইরে থেকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বার বার জিজ্ঞাসা করেন, মাসিমা সঞ্জয়ের ফাঁসি হচ্ছে না কী বলবেন? কার্যত বন্ধ ঘরের বাইরে থেকে চিৎকার করেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। কিন্তু ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। প্রাথমিকভাবে সেই দরজা খোলা হয়নি।
আগের দিন সঞ্জয়𓂃 দোষী শুনে মা বলেছিলেন, ছেলের বিষয় ও বুঝবে। কার্যত ভাবলেশহীন তিনি।
গত ১৮ জানুয়ারি সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সেদিনও সঞ্জয়ের🧸 মা ছিলেন ঘরের ভেতরই। তবে সেদিন মুখ খুলেছিলেন সঞ্জয়ের দিদি। মুখ ঢেকে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন তিনি। দোষ করলে শাস্তি পাবেই, এমনই মতামত ছিল সঞ্জয়ের দিদির। কিন্তু সেদিনও মুখ খোলেননি সঞ্জয়ের মা।
🍨সোমবারও মুখ খুললেন না সঞ্জয়ের মা। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। বার বার সংবাদমাধ্য়মের প্রতিনিধিরা ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ভেতর থেকে দরজা বন্ধ।
🦄তবে বিগত দিনে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় মুখ খুলেছিলেন সঞ্জয়ের মা।
♍সেই সময় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনার কী মনে হয় আরও কেউ জড়িত ছিল?
⭕ সঞ্জয়ের মা সেই সময় বলেছিলেন, আমি তো পেছন পেছন ঘুরিনি। সবাই চায় খুশি থাকতে। কিন্তু আমি দুঃখ পেয়েছি। আমার ছেলে চোট পেয়েছে। কিন্তু কাউকে কিছু বলেনি কোনওদিন। ওর বাবার সম্মান ছিল।আমার স্বামী গাড়ি চালাতেন।
⛄সেই সময় সঞ্জয়ের মাকে বার বার প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনি কি ছেলের শাস্তি চান?
তখন সঞ্জয়ের মা কোনও উত্তর দেননি সেই সময়।
🎶আর এদিন সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল শিয়ালদা আদালত। ফাঁসি নয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ।
📖এদিকে রায় শুনে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার বাবা মা।
জুনিয়র ডাক্তার♔দের একাংশের মতে, এত সুরক্ষিত জায়গায় যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে তবে সাধারণ বাড়িতে যা খুশি হতে পারত। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে পারত। আমাদের এটাই মনে হয়েছে। এটা বিরলতম ঘটনা বলে আমাদের মনে হয়েছে।
🧜এদিকে শিয়ালদা আদালতের বিচারক নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন। তবে বিরল থেকে বিরলতম বলে আখ্য়া দেওয়া হয়নি এই ঘটনাকে।