ꩲ বান্ধবী কিছুদিন আগেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু বান্ধবীর ‘তিনি’ তো পাননি। এই জেলে একের পর এক সহকর্মী, পরিচিত এলেও একে একে চলে গিয়েছে। শুধু তাঁর জামিন মিলছে না। বারবার আবেদন করলেও দিনের শেষে নেমে আসছে হতাশা। কারণ বিচারক তাঁকে জামিন দিচ্ছেন না। তাই আজও তিনি জেলবন্দি। এই আবহে এজলাসে বারবার দেখা হয়েছে দু’জনের। চোখে চোখে কথাও হয়েছে। ভালবাসার আবেগঘন আবেদনও দেখানো হয়েছে। তাতে কখনও মিষ্টি হাসিও হেসেছেন একে–অপরে। আবার লাজুক ভাবও ফুটে উঠেছে আদালত চত্বরে। তবে এবার আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে সামান্য কথা হল বান্ধবীর সঙ্গে। আর তাতেই ধরা পড়ল একরাশ হতাশা। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে।
🥀গত নভেম্বর মাসেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন বান্ধবী। কিন্তু প্রেমিক জেলে। হ্যাঁ, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কথা এখানে বলা হচ্ছে। পার্থ এখনও জেলবন্দি। গতকাল মঙ্গলবার পাশের সেল থেকে চলে গিয়েছে বালুও। সুতরাং তিনি এখন একা। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ইডি গ্রেফতার করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তখন থেকে এখনও জেলে পার্থ। কলকাতার বিচার ভবনে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ইডির মামলায় বিচার শুরু হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে নিয়ে আসা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। এবার মুখোমুখি কথা হল পার্থ–অর্পিতার। আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে অর্পিতার পাশেই দাঁড়ান পার্থ। মামলা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন: বঙ্গ–বিজেপির বুথ কমিটির সংখ্যা কত? কঠিন অঙ্ক কষতে দিতে কলকাতায় আসছেন বনসল
এরপর আজ পার্থ ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। আদালতে উপস্থিত ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। উভয়ের দেখা হওয়ায় প্রায় ১০ মিনিট কথা হয়। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেন দু’জনে। কিন্তু সেই কথা দীর্ঘস্থায়ী হল না। যেতে হবে যে আবার জেলে। তাই যাওয়ার আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন,๊ ‘আসি, ভাল থেকো’। সম্মতি দিলেন অর্পিতাও। তারপর হতাশ মুখ নিয়ে এগিয়ে গেলেন প্রিজন ভ্যানের দিকে।
ভাল থাকার কথা পার্থ বললেও ভাল নেই অর্পিতা। জামিন পেয়েছেন ঠিকই। জেলের বাইরে আছেন ঠিকই। কিন্তু মাকে হারাতে হয়েছে। পার্থকেও কাছে পাচ্ছেন না। তিনিও এখন জেলে। শান্তিনিকেতনের সেই ‘অপা’ বাড়িটিতে এখন আর যাওয়া হয় না। আদালতের বাইরে একদিন আগেই বিচারপর্ব সংক্রান্ত বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,🐼 ‘বিচারব্যবস্থার উপর আমার ভরসা আছে। সত্য একদিন সামনে আসবেই।’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২২ জুলাই গ্রেফতার করা হয় পার্থ–অর্পিতাকে। আগে ভার্চুয়াল শুনানিতে তাঁদের এক ফ্রেমে দেখা গেলেও মুখোমুখি কথা হয়নি তাঁদের। এবার সেটাও হল। তবে বান্ধবীকে ছেড়ে ফিরে আসতে হল জেলে।