আরজি কর কাণ্ডের রায় ঘোষণার আগে আজ সকালে ফের বিস্ফোরক নির্যাতিতার মা। তাঁর মেয়ের সঙ্গে থাকা চার চিকিৎসকের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। এরই সঙ্গে শাসকদলের বিরুদ্ধে তিনি নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। নির্যাতিতার মা আজ সাংবাদিকদের বলেন, 'চারজন ডাক্তার যাঁরা আমার মেয়ের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের তো ঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি। তাঁদের হেফাজতে না নিলে কি সত্যি কথা বলবে?' (আরও পড়ুন: 𓆉আরজি কর কাণ্ড: 'অভিজিৎ মণ্ডলের থেকে বড় দোষী বিনীত গোয়েল')
ꩵএই ঘটনায় এক মহিলা ডাক্তারের নাম উঠে এসেছিল। সেই ডাক্তার নাকি নির্যাতিতার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সেই ডাক্তারকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্যাতিতার মা বলেন, 'আমরা প্রথমেই তাঁর (মহিলা ডাক্তারের) নাম নিয়েছিলাম। তিনি তো দুই মাস এখানে ছিলেনও না। নিজের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু কী জেরা করেছে তারাই জানে। আমরা তো প্রথম থেকেই তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছি।' এদিকে নির্যাতিতার মাকে প্রশ্ন করা হয়, সিবিআইয়ের ওপরে ভরসা আছে? তাঁর জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের আদালতের ওপরে ভরসা আছে।' এদিকে রায়দানের পর কী পদক্ষেপ হবে তাঁদের? এই নিয়ে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘আজ রায় হবে মানে বিচার শেষ হয়ে যাবে না। আশা করছি রাজনৈতিক রং ছাড়া এর আগে যেমন ভাবে মানুষ আমাদের পাশে থেকেছেন, এরপরেও তাঁরা থাকবেন।’
ꦑস্যালাইনকাণ্ডের রেশ টেনে এনে নির্যাতিতার মা বলেন, 'আজকে যে স্যালাইনকাণ্ডে ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হল, আমার মেয়েও তো কর্তব্যরত ছিল। তাঁর ঘটনায় তো কাউকে সাসপেন্ড করা হয়নি। ভিতরের লোক জড়িত না থাকলে বাইরে থেকে এসে কেই এটা করতে পারে না। সিএফএসএল রিপোর্টেও তা বলা হয়েছে। কোনও এক অদৃশ্য হাত আছে। একজন ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুন করা হল, এর জন্যে অনেক পাওয়ার দরকার। সেই পাওয়ারের জায়গা থেকে এসেছে। এরপর তিনি বলেন, 'আমি নিজে থেকে কোনওদিন শাসকদলের সঙ্গে যোগাযোগ করব না।' তিনি জানান, ঘটনার পর ৪ দিন পর্যন্ত স্থানীয় বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তারপর আর তৃণমূলের কাউকে যোগাযোগ করতে দেখেননি তাঁরা।
🍌এই বিষয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, 'পানিহাটিতে তৃণমূলের কোনও লোক আমাদের বাড়িতে আসতে চায় না। অনেককেই কর্মসূত্রেও চিনি, তাঁরাও আসতে চান না।' এরপর নির্যাতিতার মা বলেন, 'আমাদের পাশে সবাই আছে। তাই এই ক'জন মানুষ আমাদের পাশে থাকল কি থাকল না, তাতে কিছু যায় আসে না।' এদিকে নির্যাতিতার বাবা বলেন, 'আন্দোলন জারি রাখতে হবে, তারপর দেখা যাক কী হয়।'