সইফ আলি খানের উপর মামলায় গ্রেফতার হওয়া ৩০ বছরের ওই যুবককে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল মুম্বইয়ের একটি আদালত। দুপুর দেড়টা নাগাদ অভিযুক্তকে বান্দ্রার হলিডে কোর্টে পেশꦯ করে মুম্বই পুলি♏শ।
গত ১৬ জানুয়ারি ভোরে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সইফ-করিনার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে চুরির উদ্দেশ্🧜য নিয়ে ঢুকেছিল মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। অভিনেতা বাধ দিলে তাঁকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে গ্রেফতার হওয়ার শরিফুল। তার পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর হওয়ার পর মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক তাঁর কৌঁসুলি।
সইফের উপর হামলাকারীর উকিল সন্দীপ শেখানে জানান, সইফ আলি খ🍎ান কখনও কোনও এমন মন্তব্য করেননি যার ফলে অন্য রাষ্ট্রের কেউ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে। বা কোনও বাংলাদেশির থেকে ওঁনার প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকবে। বাংলাদেশ কেন, অন্য দেশের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য। ওঁনার নামে কোনও আন্তর্জাতিক মামলা নেই। পুলিশ মামলাটা ঘোরাবার চেষ্টায় আছে যেহেতু অভিযুক্ত বাংলাদেশি।' অভিযুক্ত কি বাংলাদেশি? এই প্রশ্নের উত্তরে সন্দীপ শেখানে মেনে নেন সইফের উপর হামলাকাꦑরী বাংলাদেশি, তবে মুম্বই পুলিশ যেমনটা জানিয়েছে যে ৬ মাস আগে বর্ডার পার করে এদেশে ঢোকে অভিযুক্ত সেই দাবি নাকি সঠিক নয়। সন্দীপের কথায় পরিবার নিয়ে গত অনেক বছর ধরেই নাকি এখানে থাকছে। অভিযুক্তর পরিবারও মুম্বইতেই থাকেন জানান আইনজীবী। অভিযুক্তর আইনজীবীর কথাতেও পরস্পর বিরোধিতা লক্ষ্য় করা গিয়েছে। এই মন্তব্যের কিছু সময় আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত বাংলাদেশি নন।
তিনি বলেন, পুলিশের কাছে কোনও প্রমাণ ন🏅েই যে তিনি বাংলাদেশি। আইনজীবী আরও বলেন, ‘তারা (পুলিশ) বলেছে যে সে ছয় মাস আগে এখানে এসেছিল, এটি একটি ভুল বক্তব্য। সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এখানে বসবাস করছেন। তার পরিবার🎃 মুম্বাইয়ে... এটি ৪৩এ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি।’
কীভাবে গ্রেফতার শরিফুলকে করল মুম্বই পুলিশ
রবিবা𝕴র সকালে পুলিশ জানায♏়, তারা পার্শ্ববর্তী থানে জেলার ঘোডবন্দর রোডের হিরানন্দানি এস্টেট থেকে হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামে এক বাংলাদেশি নাগরিক, যে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং তার নাম পরিবর্তন করে বিজয় দাস রেখেছিল। পুলিশের আরও দাবি, ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের ঝালকাঠির বাসিন্দা এবং পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে মুম্বইয়ে ছোটখাটো চাকরি করতেন।
মুম্বইয়ের বান্দ্রায় অভিজাত 'সতগুরু শরণ' ভবনের ১২ তলায় থাকেন অভিনেতা। পুলিশ জানিয়েছে, সইফ আলি খান, তাঁর স্ত্রী কারিনা কাপুর এবং তাদের দুই ছেলে চার বছরের জেহ ও আট বছর বয়সী তৈমুর তাদের পাঁচ গৃহকর্মীকে নিয়ে বাড়িতে ছিলে সইফ। হামলার পর সইফ অটো করে লীলাবতি হাসপাতালে পৌঁছান। রক্তেভেজা সইফকেꦑ নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিল তৈমুর। হেঁটেই হাসপাতালে ঢোকেন সইফ।