আওয়ামি লিগকে কি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে? এই নিয়ে অনেক জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম দাবি করলেন, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আপাতত কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে বাকি রাজনৈতিক দলগুলি কাঁধে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব চাপান তিনি। এদিকে শফিকুল আরও বলেন, 'আওয়ামি লিগের যেই নেতাদের হাতে রক্ত লেগে আছে, তাদের বিচার হবে। সেই দলের নেতাদের এখনও কোমও অনুশোচনা নেই।' (আরও পড়ুন: 🦋'দিল্লির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন', গলাবাজি বাংলাদেশে, গভীর রাতে যা হল...)
আরও পড়ুন:🐟 'সীমান্তে একটি বাংলাদেশি লাশ পড়লে ভারতে ফেলা হবে দু'টি', হুঁশিয়ারি এল ওপার থেকে
এদিকে আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুল বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হবে। সেইসঙ্গে সরকার কী পরিমাণ সংস্কার চায়, তার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হবে।' এদিকে সম্প্রতি আওয়ামি লিগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল দাবি করেছিলেন, মার্চের আগেই বাংলাদেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। (আরও পড়ুন: 𓆏বাংলাদেশে বিস্ফোরণে আহত কাজী নজরুল ইসলামের নাতি, আছেন লাইফ সাপোর্টে)
আরও পড়ুন: ꧙'কোথায় যাব?', অত্যাচার থেকে বাঁচতে ভারতে, পুলিশের জালে ৭ বাংলাদেশি হিন্দু
শুধুমাত্র এক 'নোট ভার্বাল' দিয়ে দিল্লি কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছিল ঢাকা। তবে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সব আনুষ্ঠানিকতা নাকি সম্পন্ন করেনি বাংলাদেশ সরকার। হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের প্রত্যর্পণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফর্মালিটি থাকে। এদিকে এই নিয়ে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যে চিঠির প্রাপ্যতা স্বীকার করেছে নয়াদিল্লি। তবে এখনও কোনও উত্তর আসেনি। ঢাকা ভারতের প্রত্যুত্তরের অপেক্ষায় আছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। (আরও পড়ুন: ಌবাংলাদেশ সীমান্তে বাঁধ বিতর্কে CM-এর দাবি ‘নস্যাৎ’? প্রশ্ন BSF-এর মন্তব্য ঘিরে)
আরও পড়ুন: ꦕসইফের হামলাকারী বাংলাদেশি হওয়ায় তৃণমূলকে ক্ষমা চাইতে বললেন অমিত
এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। আবার আনন্দবাজার পত্রিকা দাবি করেছে, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ান হয়েছে। এদিকে এরই মাঝে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে 'রাজনৈতিক আশ্রয়' দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধ ভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: 💖সার্ভার বন্ধ করল ওব়্যাকল, অমেরিকায় আর চলছে না টিকটক, চিনা সংস্থা বলল…)
ꦐঅপরদিকে সম্প্রতি গুম-খুনের মামলায় মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরই মধ্যে আবার জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেছিলেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তাহলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়ে তাঁকে জেরা করতেও রাজি কমিশন।