𓃲 একদিকে, বিএসএফ যখনই উন্মুক্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে ঘেরার উদ্যোগ নিচ্ছে, তখনই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর উপর হামলা ও আক্রমণ চালানো হচ্ছে বাংলাদেশের তরফে। অন্যদিকে, সেই বাংলাদেশই বিএসএফ তথা ভারতের আপত্তি উপেক্ষা করে ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ করছে!
ꦓবিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ত্রিপুরায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এই বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বাঁধ নির্মাণ করছে বাংলাদেশের বর্তমান কেয়ারটেকার সরকার। যার মাথায় রয়েছেন মহম্মদ ইউনুস।
💦ত্রিপুরার উনকোটি সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে আলিনগর, নিশ্চিন্তপুর ও লালারচকে প্রায় ৬০ ফুট চওড়া এই পেল্লায় বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। বাঁধটির উচ্চতা রাখা হয়েছে প্রায় ২০ ফুট।
কেন বাঁধ নির্মাণে আপত্তি জানাচ্ছে বিএসএফ?
ℱতথ্য়াভিজ্ঞ মহল বলছে, এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে আপত্তি জানানোর যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত কারণ রয়েছে বিএসএফ-এর কাছে। কারণ, এই বাঁধ তৈরি হওয়ার পর ভারতের কৈলাশহরের বাসিন্দাদের জন্য তা মহাবিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
♊কারণ, এই অংশে ভারতের তরফে যে বাঁধটি এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটি বহু পুরোনো। ফলত, অত্যন্ত দুর্বল। তার প্রধান কারণ হল - প্রায় ২৫ বছর ধরে ভারতের অংশে অবস্থিত এই বাঁধটি সংস্কার করার কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি।
ꦿএই অবস্থায় ভারী বর্ষণ হলে, বাংলাদেশের নতুন শক্তপোক্ত বাঁধ সেই অতিরিক্ত জলের চাপ সামলে নেবে। বদলে ভারতীয় অংশের দুর্বল বাঁধের উপর চাপ বাড়বে। তাতে ভারতীয় বাঁধটি ভেঙেও যেতে পারে। ফলত, প্রবল বন্য়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে ত্রিপুরার কৈলাশহর।
🔯উল্লেখ্য, এই কারণেই বিএসএফ বারবার বাংলাদেশের এই বাঁধ নির্মাণে আপত্তি জানিয়েছে। এই পরিস্থিতি বিজিবি বা বাংলাদেশের বর্তমান কেয়ারটেকার প্রশাসনেরও অজানা নয়। তবুও তারা বিএসএফ-এর সমস্ত আপত্তি উপেক্ষা করেই বাঁধ নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে।
ꦛপরিস্থিতি যে অত্যন্ত উদ্বেগজনক তা উল্লেখ করে বিএসএফ-এর তরফে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট জমা করা হয়েছে।
ꦫএই অবস্থায় সবথেকে আশঙ্কায় রয়েছেন কৈলাশহরের সাধারণ বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, বাংলাদেশ যে বিএসএফ-এর কথা কানে তুলবে না, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু, তা বলে স্থানীয় প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি কোনও পদক্ষেপ না করে, তাহলে কীভাবে চলবে? দুর্যোগ হলে সবথেকে বেশি ক্ষতি তো এলাকার আমজনতারই হবে।
ꦫতাই, স্থানীয় বাসিন্দাদের একটাই দাবি। অবিলম্বে জরুরি পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। যাতে বর্ষার মরশুম শুরু হওয়ার আগেই বন্য়া রুখতে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। একমাত্র তাহলেই এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।