এর আগে মোদীর মার্কিন সফরের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি দেখা করবেন। তখন অবশ্য তিনি প্রেসিডেন্ট নন, রিপাবলিকান প্রার্থী মাত্র। সেবারে নিজের ব্যস্ত সফরসূচির মাঝে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা হয়নি মোদীর। এদিকে 'বন্ধু' ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও দেখা যাবে না নরেন্দ্র মোদীকে। তবে এবার রিপোর্টে দাবি করা হল, প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর খুব শীঘ্রই ভারত সফরে আসতে পারেন ট্রাম্প। এই নিয়ে নাকি তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। এদিকে ট্রাম্প নাকি চিন সফরেও যেতে চাইছেন। (আরও পড়ুন: ♈ফের পডকাস্টে মোদী, মুখোমুখি হবেন লেক্স ফ্রিডম্যানের, কে এই মার্কিনি?)
আরও পড়ুন: 🥃'সীমান্তে একটি বাংলাদেশি লাশ পড়লে ভারতে ফেলা হবে দু'টি', হুঁশিয়ারি এল ওপার থেকে
এর আগে নিজের নির্বাচনী প্রচারের সময় চিনের ওপর শুল্কের বোঝা চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের প্রথম কার্যকালে চিনকে বারংবর বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ শানিয়েছিলেন ট্রাম্প। কোভিডকে 'চিা ভাইরাস' নাম দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে এরই মাঝে এবার চিনের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প ভারত সফরে আসতে পারেন এপ্রিলেই। আর সেই সময় যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে চলতি বছরের শেষের দিকে শীতকালে ভারতে আসতে পারেন তিনি। এদিকে রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, এই বসন্তেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হোয়াইট হাইজে আমন্ত্রণ জানাতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। (আরও পড়ুন: ⛎গাজায় ফিরেও ফিরছে না শান্তি? যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগেই নয়া হুমকি ইজরায়েলের)
আরও পড়ুন: ꦉ'দিল্লির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন', গলাবাজি বাংলাদেশে, গভীর রাতে যা হল...
🅘জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর যখন ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন, তখন এই নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের হয়ে উপস্থিত থাকবেন জয়শংকর। এদিকে চিনের তরফ থেকে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সেই দেশের উপরাষ্ট্রপতি হান ঝেং। একদিন আগেই অবশ্য চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের কথা হয় ফোনে। সেই ফোনালাপেই জিপিংকে ব্যক্তিগত ভাবে শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে জিনপিং বিদেশি কোনও রাষ্ট্রনায়কের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন না বলে জানান। অবশ্য ট্রাম্প পরে জানান, ফোনে তাঁদের কথাবার্তা 'ইতিবাচক' ছিল। ট্রাম্পের কথায়, 'আমি আশা করি একসঙ্গে আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করব। প্রেসিডেন্ট শি এবং আমি এমন সব কিছুই করব যাতে বিশ্ব শান্তি বজায় থাকে।'
🍌এদিকে ট্রাম্প ও মোদী ব্যক্তিগত রসায়ন বারবার নজর কেড়েছে বিশ্ব রাজনৈতিক মহলের। এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনের আগে টেক্সাসে গিয়ে 'হাউডি মোদী' অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানে মোদীকেও 'আব কি বার ট্রাম্প সরকার' স্লোগান তুলতে শোনা গিয়েছিল। এই আবহে এই নির্বাচনের আগে মোদী বন্দনা শোনা গিয়েছিল ট্রাম্পের গলায়। তিনি বলেছিলেন, 'মোদী বিরাট নেতা। মহান মানুষ। সত্যিই বড় মাপের লোক। উনি দারুণ কাজ করেছেন। কিন্তু, ওনার দেশ খুব চড়া হারে শুল্ক আদায় করে। ওনাকে আপাতভাবে দেখলে মনে হবে খুবই ভালো মানুষ। উনি আমার খুব ভালো বন্ধু। দারুণ লোক। বাইরে দেখে মনে হবে, উনি যেন আপনার অভিভাবক। তবে তিনি কিলার। ওটাও তাঁর অসামান্য এক ক্ষমতা।' এদিকে কয়েক মাস আগে মোদীর মার্কিন সফরের সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে সেই সফরকালে সময় করে উঠতে পারেননি মোদী। পরে অবশ্য ভোটে জেতার পরে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মোদী।