ꦛ 'ম্যাডাম খুব দুষ্টুমি করেন।' যে বাড়ি ‘ফাঁকা’ আছে, সেটারই ১ লক্ষ টাকা ইলেকট্রিক বিল আসা নিয়ে মান্ডির বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউতকে কটাক্ষ করেছেন হিমাচল প্রদেশের পূর্ত দফতরের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং। সম্প্রতি রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কঙ্গনা। সাংসদ-অভিনেত্রীর অভিযোগ, বাড়িতে না থাকা সত্ত্বেও ১ লক্ষ টাকা বিল এসেছে তাঁর।
🐼আরও পড়ুন-UP Scam:৩০ মাসে ২৫ বার সন্তান প্রসব! উত্তরপ্রদেশে বড় জালিয়াতির পর্দা ফাঁস
🅘মান্ডির এক অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী বলেন, 'এই মাসে আমার মানালির বাড়িতে ১ লক্ষ টাকা ইলেকট্রিক বিল এসেছে। যেখানে আমি থাকিও না। কতটা দুর্দশা দেখুন। আমি এগুলো পড়ি আর লজ্জা পাই এটা ভেবে যে কী চলছে হিমাচলে।'
🐭এরপরেই হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের সভাপতি সন্দীপ কুমার বিবৃতি দিয়ে জানান, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে বিল পরিশোধ না করায় ৯০ হাজার টাকার বিল পাঠানো হয়েছে কঙ্গনাকে। দু' মাসের বিল বাবদ হয়েছিল ৯০ হাজার টাকা। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই বিল দিতে না পারায় ফাইন হিসেবে অতিরিক্ত ৩২,২৮৭ হাজার টাকা যুক্ত হয় তার সঙ্গে। দু' মাসের বকেয়া টাকা-সহ অতিরিক্ত ফাইনের পুরো অঙ্ক যোগ করলে সেটা ৯১ হাজারের খানিক বেশি দাঁড়ায়। তাছাড়া, কঙ্গনা যদি সময়মতো বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে দিতেন, তাহলে তাঁর কাছে ৫৫,০০০ টাকার বিলই যেত।
ꦕকঙ্গনার যে বাড়ির বিদ্যুতের বিল নিয়ে এত তরজা, সেটি সিমসা গ্রামে অবস্থিত। অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি সেই বাড়িতে থাকেন না, তবে হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের দাবি, ৯৪.৮২ কিলোওয়াটের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় ওই বাড়িতে, যা সাধারণ গৃহস্থালি কানেকশনের তুলনায় প্রায় ১,৫০০ শতাংশ বেশি।
꧃এই আবহে ‘কুইনের’ বিল না মেটানোর বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের পূর্ত দফতরের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং চরম কটাক্ষ করেছেন। এক্স পোস্টে বিক্রমাদিত্য বলেন, ‘ম্যাডাম ভীষণ দুষ্টুমি করেন। তিনি নিজের ইলেকট্রিক বিল মেটাননি। এদিকে মঞ্চ থেকে সরকারকে দুষছেন। এভাবে কী করে চলবে!’ এরপরেই পাল্টা জবাবে রাজ্যের মন্ত্রীকে কঙ্গনা বলেন, ‘বিক্রমাদিত্য সিং যদি রাজা বাবু হন, তাহলে আমিও একজন রানি।’ বিক্রমাদিত্য সিং হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং এবং কংগ্রেস নেত্রী প্রতিভা সিং-এর ছেলে এবং পূর্বতন রামপুর এস্টেটের বংশধর।
🎉আরও পড়ুন-UP Scam:৩০ মাসে ২৫ বার সন্তান প্রসব! উত্তরপ্রদেশে বড় জালিয়াতির পর্দা ফাঁস
𓆉প্রসঙ্গত, কঙ্গনার সর্বশেষ ছবি ছিল ইমার্জেন্সি, যেখানে তিনি অভিনয় করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রে। ছবির জন্য যে তিনি নিজের বাড়ি ঘর এবং তাঁর ভিতরে থাকা সবকিছুই বন্ধক রেখেছিলেন সেকথা জানিয়েছিলেন নিজেই। এমনকী এও বলেছিলেন যে ইমার্জেন্সি ভালো ব্যবসা না করলে তাঁর জীবনে বড় লস হতে পারে।