🌸 ইতিমধ্যেই তাদের নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। কারণ, তারা 'দুই জন'ই ভারতীয় প্রযুক্তির অন্যতম উদাহরণ। এমনকী, তাদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি করা হবে, এমনটাও আশা করা হচ্ছে। কথা ছিল, আগামী সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের প্য়ারেডের সময় রাজধানী দিল্লির আকাশে তাদের দেখা পাওয়া যাবে।
🎃কিন্তু, এখনও শোনা যাচ্ছে, সেই সম্ভাবনা আর নেই। কারণ, আগামী ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানসূচি থেকে ছিটকে গিয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত যুদ্ধবিমান তেজস এবং অ্য়াডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএমএইচএস) ধ্রুব!
🐠কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ভারতীয় বায়ু সেনার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবারই তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। বায়ু সেনার দাবি, 'একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত' গ্রহণের ফলেই এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে।
ꦫঠিক করা হয়েছে, আগামী ২৬ জানুয়ারি কর্তব্য পথে আয়োজিত হতে চলা প্যারেডের পর ফ্লাইপাস্টে কোনও সিঙ্গল ইঞ্জিন বিশিষ্ট যুদ্ধবিমানই অংশগ্রহণ করবে না। অনুষ্ঠানস্থলের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ꦛএর ফলে কেবলমাত্র দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারই ওই দিনের অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হবে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোনও সামরিক যানের (বায়ু সেনার ক্ষেত্রে) প্রদর্শন আর সেখানে হবে না।
𒉰বদলে ফরাসী প্রযুক্তিতে তৈরি রাফাল, রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি সুখোই-৩০এমকেআই এবং মিগ-২৯ এবং অ্য়াংলো-ফরাসী প্রযুক্তিতে তৈরি জাগুয়ার ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে।
🍒প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি গুজরাটের পোরবন্দরে উপকূল রক্ষীবাহিনীর একটি চপার ভেঙে পড়ে। তাতে দুই পাইলট এবং একজন সাঁতারুর মৃত্যু হয়। তারপর থেকে সশস্ত্রবাহিনীর ৩৩০টি দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট অ্য়াডভান্সড লাইট হেলিকপ্টারের সবক'টিই এখনও পর্যন্ত আর উড়ানে অংশ নেয়নি।
🎐টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, নিরাপত্তার স্বার্থেই এমনটা করা হচ্ছে।
🔯সূত্রের খবর, এবারের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মোট ৪০টি বিমান ফ্লাইপাস্টে অংশ নেবে। এই বিমানগুলি উড়ে আসবে দেশের ১০টি ভিন্ন বিমানঘাঁটি থেকে। যাতে অংশ নেবে ২২টি যুদ্ধবিমান ১১টি পরিবহণকারী বিমান। যেমন - মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস এবং সি-১৭ গ্লোবমাস্টার-৩।
🍌এছাড়াও থাকবে সাতটি হেলিকপ্টার। যার মধ্য়ে চারটি হল রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি এমআই-১৭ ভি৫ এবং বাকি তিনটি হল মার্কিন প্রযুক্তিতে নির্মিত অ্যাপাচে অ্য়াটাক হেলিকপ্টার।
🌜এর ফলে যাঁরা আগামী ২৬ জানুয়ারি সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস ও ধ্রুবকে দেখার অপেক্ষায় যাঁরা ছিলেন, তাঁরা যে কিছুটা আশাহত হবে, সেকথা বলাই বাহুল্য।