ক্ষমতায় এসেই ইজরায়েল-বিরোধী মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ট্রাম্পের সেই যুক্তিতে সায় দিয়ে নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের ছাত্রকে মাহমুদ খলিলকে নির্বাসনের নির্দেশ দ🐠িয়েছে♓ন মার্কিন অভিবাসন বিচারক। গত মাসেই প্যালেস্টাইনপন্থী মাহমুদ খলিলকে গ্রেফতার করেছিল ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট।জানা গেছে, প্যালেস্তাইন-পন্থী বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন ওই ছাত্র।
আরও পড়ুন-Donald Trump: শেয়🌃ার বাজারে কারচুপি ট্রাম্পের! তদন্তের দাবি, 🦩এসইসি-কে চিঠি সিনেটরদের
শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা ইমিগ্রেশন আদালতের বিচারক জেমি কোমান্স মাহমুদ খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা যাবে বলে রায় দিয়েছেন।তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত খলিল কখনোই কোন অপরাধে অভিযুক্ত হননি। আটক অবস্থা থেকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, প্যালেস্টাইনীদের অধিকার নিয়ে কথা বলার কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।অন্যদিকে, লুইজিয়ানার ইমিগ্রেশন আদালতের বিচারকের রায় পক্ষে গেলেও ট্রাম্প প্রশাসন এখনই খলিলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত করতে পারছে না। কারণ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের জন্য খলিলের আইনজীবিদের আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছে𝄹ন বিচারক। এ সময় কোমান্স হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সময়মতো আবেদন জমা না দিলে খলিলকে সিরিয়া বা আলজেরিয়ায় নির্বাসিত করা হবে।
১৯৫২ সালের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টকে উল্লেখ করে গত মাসে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্ক রুবিও বলেছিলেন, খলিল মার্কিন বিদেশ নীতি সংক্রান্ত স্বার্থের ক্ষতি করতে পারেন এবং তাঁর বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁকে বিতাড়িত করা উচিত।কোমান্স বলেছেন, বিদেশ সচিবের বক্তব্যকে অগ্রাহ্য করার এক্তিয়ার তাঁর নেই। খলিলের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে রুবিওকে তলব করার এবং ১৯৫২ সালের আইনের অধীন তাঁর নেওয়া সিদ্ধান্তের ‘যুক্তিসংগত কারণ’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিচারকের কাছে আব♍েদন করা হয়েছিল। তবে বিচারক তা খারিজ করে দি🧸য়েছেন।
আরও পড়ুন-Donald Trump: শেয়ার বাজারেꦜ কারচুপি ট্রাম্পের! তদন্তের দাবি, এসইসি-কে🌠 চিঠি সিনেটরদের
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউইয়র্ক ক্যাম্পাসে প্যালেস্টাইনপন্থী বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন খলিল। সিরিয়ার একটি প্যালেস্টাইন শরণার্থীশিবিরে জন্মানো খলিল আলজেরিয়ার নাগরিক। গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হন। খলিলের স্ত্রী একজন মার্কিন নাগরিক। গত ৮ মার্চ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবন থেকে খলিলকে গ্রেফতার ꦏকরেন যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন൲্টের কর্মকর্তারা। এরপর কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে লুইজিয়ানার জেলে পাঠান। তখন থেকে তিনি সেখানেই আছেন।