꧂ সীমান্ত নিয়ে সমস্যা সমাধানের বৈঠকে কি আরও সংঘাত বাড়াবে বাংলাদেশ? তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি দাবি করেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) পর্যায়ের যে বৈঠকের কথা আছে, তাতে ‘অসম’ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাঁর কথায়, ‘কিছু-কিছু অসম চুক্তি করা হয়েছে। এগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। আমাদের মন্ত্রক থেকে আমরা একটা চিঠিও দিচ্ছি। যেগুলি অসম আছে, সেগুলির সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়, (সেটা নিয়ে চিঠি দেওয়া হবে)।’
সংঘাতের আবহে ‘অসম’ চুক্তি নিয়ে বার্তা বাংলাদেশের
⛦‘অসম’ চুক্তি বলতে কী কী বোঝাচ্ছেন, তা অবশ্য খোলসা করেননি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তবে এমন একটা সময় তিনি সেই মন্তব্য করেছেন, যখন সীমান্তে বেড়া দেওয়া নিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সংঘাতপূর্ণ আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। দু'দেশই একে অপরের হাইকমিশনারকে তলব করেছে। তারপরও আগামী মাসে বিএসএফ এবং বিজিবির ডিজি পর্যায়ের যে বৈঠক হওয়ার কথা আছে, সেখান থেকে সমাধানসূত্র বেরোবে বলে আশাপ্রকাশ করা হচ্ছে।
আগে রাজি ছিল, আচমকা বাগড়া বাংলাদেশের
♊একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে, সীমান্তে বেড়া দেওয়া নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটা সমাধানের চেষ্টা করা হবে বিএসএফ এবং বিজিবির ডিজি পর্যায়ের বৈঠকে। এমনিতেও ভারতীয় ভূখণ্ডে যে বেড়া দেওয়ার কাজ করা হচ্ছিল, তা নিয়ে বিজিবির তরফে আগে কোনওরকম আপত্তি তোলা হয়নি। কিন্তু আচমকা বেড়া দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে যে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেয়নি বিএসএফ।
আন্তঃসীমান্ত অপরাধ রুখতে স্পষ্ট বার্তা ভারতের
൲যদিও ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, সীমান্তে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে অতীতে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, সেটা মেনেই যাবতীয় কাজ করা হয়েছে। যে প্রোটোকল আছে, সেটা মেনে চলেছে বিএসএফ। তাই সীমান্তে বেড়া দেওয়ার অধিকারও বিএসএফের আছে বলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, আগে যে সব সমঝোতা হয়েছিল, সেটা মেনেই বাংলাদেশ কাজ করবে বলে নয়াদিল্লি আশা করছে।
🌌সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গবাদি পশু পাচার, অনুপ্রবেশ, মানবপাচারের মতো আন্তঃসীমান্ত অপরাধ রুখতে বেড়া থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ যেখানে বেড়া নেই, সেখানেই বেশিরভাগ আন্তঃসীমান্ত অপরাধের ঘটনা ঘটে থাকে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও সেই বিষয়টি তুলে ধরেছে। সাউথ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মহম্মদ নুরাল ইসলামকে তলবকে বলে দেওয়া হয়েছে যে আন্তঃসীমান্ত রুখতে ভারত বদ্ধপরিকর।