পাঁচ ভ্রূণের মস্তিষ্ক ব্যবহার করে আশ্চর্য কাণ্ড ঘটিয়েছেন আইআইটি মাদ্রাজের বিজ্ঞানীরা। মাত্র ১৪ থেকে ২৪ সপ্তাহ বয়সের ওই ভ্রূণের মাধ্যমেই একটি নিখুঁত ব্রেইন ম্যাপ𒉰 বানিয়েছেন তাঁরা। বানানোর জন্য, প্রথমে ওই ভ্রূণগুলোকে মানুষের চুলের থেকেও পাতলা টুকরো টুকরো করে নেওয়া হয়েছিল। তারপরে ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৫,০০০-টিরও বেশি চিত্র সহ মস♚্তিষ্কের একটি বিশদ থ্রিডি মানচিত্র তৈরি করা হয়। বাইরের দেশগুলিতে একই গবেষণায় যত খরচা হয়েছে, সে তুলনায় প্রায় ১০ গুণ কম খরচে তৈরি এই অনন্য ম্যাপ। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস যে এই অ্যাটলাস ডাক্তার এবং গবেষকদের মানব মস্তিষ্ককে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
কীভাবে সাহায্য করবে এই হিউম্যান ব্রেইন অ্যাটলাস
আইআইটি মাদ্রাজের এই প্রজেক্টে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই অধ্যাপক মোহনশঙ্কর শিবপ্রকাসাম বলেন, এর আগে কেউ মস্তিষ্ককে এত কাছ থেকে দেখেননি। তিনি এবং তা🐼ঁর দল মস্তিষ্কের খুব বিশদ চিত্র তৈরি করেছেন যা দেখায় যে বিভিন্ন বয়সে মস্তিষ্ক কীভাবে পরিবর্তিত হয় এবং কাজ করে। এর লক্ষ্য হল ডাক্তারদের মস্তিষ্ককে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করা এবং পারকিনসন, আলঝেইমার এবং স্ট্রোকের মতো রোগের চিকিৎসার উপায় খুঁজে বের করতে সহায়তা করা। তিনি আরও বলেছিলেন যে মস্তিষ্কের এই ম্যাপ সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই সবার জন্য উপলব্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে যে কেউ প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: (Most Searched C♋elebrities 2024: নী🎐তীশ, রাধিকারা সবচেয়ে সার্চ হওয়া ভারতীয়, তালিকায় আছেন বিহারের আরেক সেলেব!)
এই ম্যাপ তৈরির জন্য ২০০টিরও বেশি মস্তিষ্ক সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে সুস্থ এবং রোগাক্রান্ত উভয়ই মস্তিস্ক রয়েছে। অন্তত ৭০টি মস্তিষ্কের বিস্তারিত ডিজিটাল ছবি তৈরি করতে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। মস্তিষ্কের 🌳৫০০টিরও বেশি বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করা হয়েছে এই ব্রেইন ম্যাপে।
আইআইটি-এম-র প্রাক্তন ছাত্র এবং ইনফোসিস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস গোপালকৃষ্ণানের সঙ্গে আলোচনার পর ২০১৫ সালে এই হাই-রেজোলিউশন থ্রিডি মস্তিষ্কের ছবিগুলি তৈরি করার পরিকল্পনা করা শুরু হয়েছিল৷ তিনি বিশ্বাস করেন যে এই গবেষণাটি রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা 💃এবং মেশিন লার্নিং-এও নতুন সুযোগ এনে দেবে। তিনি আরও বলেন, উন্নত মানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগাতে হলে আগে আমাদের মানুষের বুদ্ধিমত্তা বুঝতে হবে।' জানা গিয়েছে, গোপালকৃষ্ণনও এই বিশেষ অ্যাটলাস প্রজেক্টে টাকা দিয়েছেন। প্রায় ১৩২ বছর ধরে রাজত্ব করা কম্প্যারেটিভ নিউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল গবেষণার এই ফলাফলগুলি।