꧟ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বসিরহাট আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে বিচারকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আইনজীবী থেকে শুরু করে ল ক্লার্করা। তবে বিক্ষোভের সময় বিচারককে হেনস্থা করা হয়েছে বলে পালটা অভিযোগ উঠেছে আইনজীবী এবং ল ক্লার্কদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এবার মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং অন্যান্য পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল ইস্যু করল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: 🎀বইমেলায় স্টল পাচ্ছে না বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, গিল্ডকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
⭕মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলায় এমন নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। এছাড়াও, বসিরহাট বার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযুক্ত আইনজীবীদের তথ্য চেয়ে পাঠানোর পাশাপাশি জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। ৪ সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
কী ঘটেছে?
🐓জানা গিয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিচারকের অপসারণের দাবিতে সম্প্রতি বসিরহাট আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ করেন আইনজীবী ও ক্লার্করা। সেই সময় বিচারককে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি আইনজীবী ও ক্লার্কদের বিক্ষোভের জেরে এদিন বসিরহাট আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া থমকে থাকে। ব্যাহত হয় আদালতের কাজকর্ম।
💙এরপরেই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। হেনস্থার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিচারক। একইসঙ্গে তিনি আদালতে বিক্ষোভের সময়কার কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ জমা দেন। পরে মামলাটি শোনার জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। পরে মামলার শুনানি হয় বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানির সময় বসিরহাট আদালতে বিক্ষোভের সময়কার ভিডিয়ো রেকর্ডিং দেখানো হয়। তা দেখার পরেই হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে। তাঁদের কাছে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট এদিন মামলার শুনানিতে বার কাউন্সিলের সদস্য প্রসূন দত্তকে উপস্থিত থাকতে বলেছিলেন। সেই মতোই এদিন উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের সদস্য প্রসূন দত্ত। চার সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি।