ꩵ শেখ হাসিনা সেদেশ ছেড়েছেন গত অগস্টে। এরপর কেটে গিয়েছে ৪ মাসের বেশি সময়। এবার শেখ হাসিনা পরবর্তী আমলের বাংলাদেশে ৪ প্রদেশ করার ভাবনা শুরু হয়েছে। ‘প্রথম আলো’র রিপোর্ট দাবি করছে, এবিষয়ে বাংলাদেশের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন দেশে পুরনো চারটি বিভাগকে চারটি প্রদেশ করার সুপারিশ করেছে।
✃বর্তমানে বাংলাদেশে ৮ টি প্রশাসনিক বিভাগ রয়েছে। সেগুলি হল- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ। এছাড়াও কুমিল্লা ও ফরিদপুরকেও বিভাগ করার আলোচনা চলেছে। তারই মাঝে এল এই নয়া মিডিয়া রিপোর্ট। রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কাছে সংবিধান, নির্বাচন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত সংস্কার কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যদিও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি। অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, সেখানে তাঁদের কিছু সুপারিশের কথা তুলে ধরেছেন বলে খবর। সূত্র তুলে ধরে মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সেখানেই বাংলাদেশে ৪ প্রদেশ গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই চার প্রদেশ নিয়ে যে ৪ এলাকার নাম উঠে এসেছে, সেগুলি হল- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা। প্রশ্ন উঠতে পারে হঠাৎ কেন এই চার প্রদেশের ভাবনা? মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে এই ৪ প্রদেশের ভাবনায় রয়েছে ইউনুস সরকারের ওই কমিশন। যদিও বাংলাদেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করে সেখানের পরিচালনা কাঠামো কী হবে, কীভাবে হবে কাজ, তা নিয়ে স্পষ্ট রিপোর্ট কিছু জানানো হয়নি। কমিশনের সূত্র বলছে, সেই দিকটি নিয়ে আপাতত আলোচনা চলছে।
🎐উল্লেখ্য, বাংলাদেশে একাধিক প্রদেশ করার ভাবনা চিন্তা খুব একটা নতুন নয়। হাসিনা পরবর্তী আমলে অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ‘রাষ্ট্র মেরামতের এখনই সময়’ শীর্ষক লেখায় পাঁচটি প্রদেশ করার প্রস্তাব করেন। সেই দিক থেকে এই ৪ প্রদেশের কথা উঠতেই বাংলাদেশের পরিচালনা নিয়ে ইউনুস সরকারের ভাবনা চিন্তার বিষয়টি নিয়েও চর্চা চলছে নানান মহলে। উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে সাড়ে ১৭ কোটি মানুষের বসবাসের কথা। তাঁদের আরও কাছে সরকারকে নিয়ে যেতে বিকেন্দ্রীকরণের ভাবনায় জোর দিয়ে তিনি লেখেন, বাংলাদেশকে ন্যূনতম পাঁচটি প্রদেশে ভাগ করার কথা। সেক্ষেত্রে একটি ফেডারেল কাঠামোর রাষ্ট্র করার ইঙ্গিতও ছিল তাঁর লেখায়।