ওয়াকফ হিংসায় তপ্ত বাংলার মুর্শিদাবাদ। এরই মাঝে গতকাল এই ইস্যুতে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়ে বিরোধী বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছিলেন অভিষেক। কারও নাম না নিয়েই বলেছিলেন, 'কেউ কেউ চাইছে বাংলা জ্বলুক।' এবার অভিষেকের সেই মন্তব্যের জবাব দিলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, 'ধর্মনিরপেক্ষতার ট্যাবলেট খাইয়ে সমগ্র হিন্দু সমাজকে প্রান্তিক করে দেওয়া হয়েছে।' পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তোপ দাগেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। (আরও পড়ুন: 𝄹WAQF হিংসায় তপ্ত মুর্শিদাবাদ,চায়ে চুমুক দিয়ে 'মুহূর্তে ডুব' TMC MP ইউসুফ পাঠানের)
আরও পড়ুন: 𒉰মুর্শিদাবাদে BSF চেয়েছিল পুলিশই, আর কুণাল বলছেন - বিজেপির এজেন্সির প্রোরচনায়...
বার্তাসংস্থা এএনআইকে এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'স্বাধীনতার পর থেকে গত ৭৫ বছর ধরে হিন্দুরা এই সংলাপ শুনে আসছে... ধর্মনিরপেক্ষতার ট্যাবলেট খাইয়ে সমগ্র হিন্দু সমাজকে প্রান্তিক করে দেওয়া হয়েছে... হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাস, উভয় পিতা-পুত্র মারা গেছেন। কী হচ্ছে, সরকার আছে কি নেই? এই সরকার নিজেকে সম্পূর্ণরূপে জিহাদিদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। অভিষেক ব্যানার্জি, যিনি পশ্চিমবঙ্গ বা মুর্শিদাবাদ সম্পর্কে জানেন না, তিনি লাফালাফি করে বড় বড় কথা বলছেন... সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মন্ত্রী থাকাকালীন হিন্দুদের বিরুদ্ধে যে ধরণের উস্কানিমূলক কথা বলেছেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করা উচিত।' (আরও পড়ুন: 👍'পুলিশ ব্যর্থ, আমরাই নিরাপদ নই, আর সাধারণ মানুষ…', বিস্ফোরক TMC বিধায়ক)
আরও পড়ুন: 🙈মুর্শিদাবাদে বিনীত গোয়েল, রাতভর টহল পুলিশের, ওয়াকফ হিংসায় এখনও গ্রেফতার কত?
এর আগে গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে বলেছিলেন, 'উন্নয়নের ইস্যুতে রাজনৈতিকভাবে আমাদের সাথে লড়াই করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে অনেকেই ধর্মের নামে বিভেদের বীজ বপন করতে চাইছে। এভাবে বাংলায় অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি আজ সকলের কাছে শান্তি বজায় বজায় রাখার আবেদন করছি। এবং বাংলার সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার আবেদন জানাচ্ছি। আমাদের সকলকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। কেউ কেই চাইছে বাংলা জ্বলুক।' (আরও পড়ুন: 🍒মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে গঙ্গা পার করে পালাচ্ছেন আতঙ্কিতরা, দাবি বিজেপির)
ꦬউল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ স্থানীয়দের। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এলাকায় এখন বিএসএফ টহল দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের রানিপুরের জাফরাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলেকে প্রথমে পেটানো হয়েছে, তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়ি ও টোটো। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার ফোন করা হলেও পুলিশ আসেনি।
ꦏএদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলে লুটপাট চালানো হয়। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হয় বিধায়ককে। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ।