🐻ফের আসছে আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস। ২০২৩ সালে আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেই দিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল নওশাদকে। ৪২দিন জেলে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। ফের আসছে প্রতিষ্ঠাদিবস। এবার ২১শে জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনার ময়দানে সভা ডেকেছেন আইএসএফ।
ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এই সভার মূল আয়োজক। আইএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশের অনুমতিও তারা পেয়ে গিয়েছেন। এমনকী নওশাদ🌄 ইতিমধ্য়েই শহিদ মিনার চত্বর পরিদর্শন করেছেন।
🔴এবার ওয়াকফ ইস্যুতে সুর চড়াতে শুরু করেছেন নওশাদ। কিন্তু তৃণমূলও তো একই ইস্যুকে সামনে আনছে। আবার আইএসএফেরও একই ইস্যু। তবে কি সংখ্য়ালঘু ভোট কাদের দিকে থাকতে তা নিয়েই এত দড়িটানাটানি?
ꦗএর আগে তৃণমূলও একই ইস্যুতে কর্মসূচি নিয়েছিল।
💫 নওশাদ জানিয়েছেন, ওয়াকফ নিয়ে তৃণমূলের সক্রিয়তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ বিধানসভায় যখন আলোচনা হল তখন আমরা দেখেছিলাম তৃণমূলের বিধায়কদের কেমন যে গা ছাড়া মনোভাব।
কোন বিষয়গুলি তুলে ধরা হবে এই সমাবেশে?
𒉰ওয়াকফ সংশোধনী বিল বাতিল করা, জনজাতিদের বনাঞ্চলের অধিকার রক্ষা, আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবিও এই সমাবেশের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। তবে নওশাদদের দাবি, এই মিটিংয়ের সঙ্গে বিধানসভা ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই।
ꦰতবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট।তার আগেই রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মতো ঘর গোছানোর কাজ করছে। তারই অঙ্গ হিসাবে একাধিক রাজনৈতিক দল ময়দানে নামছে। মূলত দড়ি টানাটানি সংখ্য়ালঘুদের নিয়েও। কারা সেই ভোটকে নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে পারবে তার প্রতিযোগিতা চলছে। তবে কি সেই সংখ্যালঘু ভোটকে নিজেদের দিকে টানতেই ময়দানে নেমে পড়ল আইএসএফ?
༺বিগতদিনে নওশাদ বলেছিলেন, আমার সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে পেরে উঠতে পারছে না। সেকারণে সংখ্য়ালঘু,সংখ্যাগুরু হিসাবে ধরে রাখত। কাউকে ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ধরে রাখত। কাউকে আবার ভয় দেখিয়ে ধরে রাখত। আমি ধর্মের নিরিখে ভোট নয়। সিএএ দেখিয়ে ভোট নয়। বিজেপির জুজু দেখিয়ে ভোট নয়। ভোট হতে হবে উন্নয়নের নিরিখে। এই কথা বলে সারা বাংলা চষে বেড়াচ্ছি। এতে শাসকের সমস্যা হচ্ছে। ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে উত্তরাধিকার সূত্রে একটা বড় পার্সেন্টেজ ভোট নিজের পকেটে রেখেছিল।এখন যতদিন যাচ্ছে তাতে শাসকের অসুবিধা হচ্ছে। আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়েছিল যাতে আমি শাসকের সঙ্গে যুক্ত হই। কিন্তু আমি যুক্ত হইনি।