আজ যেখানে ইমামদের নিয়ে নেতাদি ইন্ডোরে ওয়াকফ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেন, সেখানে বিজেপি আজ রাজ্যে 'হিন্দু শহিদ দিবস' পালন করে। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আজ কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি আজ বলেন, 'মুসলিমদের থেকে বড় মুসলিম হওয়ার চেষ্টায় হিন্দুদের বলি দিচ্ছেন মমতা।' শঙ্কর বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা মোটেও নিরাপদ নন। আমরা বারবার বলছি, রাজ্যে যে সরকার ক্ষমতায় আছে, তারা হিন্দু বিরোধী।' (আরও পড়ুন: ൲'গোদি মিডিয়ার' ঘাড়ে বন্দুক রেখে ওয়াকফ হিংসা নিয়ে খেলা ঘোরাতে চাইলেন মমতা?)
আরও পড়ুন: ཧBSF-এর সাহায্য চেয়ে তাদেরই দোষ, মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশের হাত নিয়ে মমতা বললেন…
এদিকে আজ তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, 'গত লোকসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংখ্যালঘুরা মূলত কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। সেই ভোট তৃণমূলে টানতেই মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে রাজ্য়ের শাসকদল।' তিনি বলেন, 'ওঁর ফরাক্কার এমএলএ-র দাদা, ওঁর সামশেরগঞ্জের এমএলএ, ওঁর ধুলিয়ানের চেয়ারম্যান, তাঁরা কী করেছেন, আমরা ভিডিয়ো দিয়ে প্রমাণ করেছি।' (আরও পড়ুন: ꦇপড়শি নিয়ে 'মারাত্মক ভুল' মমতার, 'নতুন করে মানচিত্র আঁকবেন দিদি', উড়ে এল কটাক্ষ)
🐽উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ স্থানীয়দের। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এলাকায় এখন বিএসএফ টহল দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের রানিপুরের জাফরাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলেকে প্রথমে পেটানো হয়েছে, তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়ি ও টোটো। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার ফোন করা হলেও পুলিশ আসেনি।
ꦕএদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলে লুটপাট চালানো হয়। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হয় বিধায়ককে। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ।