💦 শনিবার রায়দান। তার আগে মেয়ের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের উপরে চূড়ান্ত উষ্মাপ্রকাশ করলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। সংবাদমাধ্যম টিভি নাইন বাংলায় তাঁরা দাবি করেন, সিবিআই কোনও কাজই করেনি। সঞ্জয় রায়কেই একা দোষী বলে প্রমাণ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেইসঙ্গে মা দাবি করেন, কারও একটা নির্দেশ আছে। যেন একটা অদৃশ্য আদেশ কাজ করছে। তাই সিবিআই হয়তো এরকম করছে বলে দাবি করেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা।
তদন্ত এখনও অর্ধেক হয়েছে, দাবি পরিবারের
💃শুক্রবার নির্যাতিতার বাবা বলেন, 'সঞ্জয় (ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, তাকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিবিআই) দোষী। আগামিকাল যে রায় দেওয়া হবে, সেটা ওর বিরুদ্ধে যাবে। কিন্তু অন্য অপরাধীদের কী হবে? যাদের এখনও ধরা হয়নি। আমি ওদের প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখছি। ওদের আমি হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে দেখেছি। অর্থাৎ তদন্ত এখনও অর্ধেক হয়েছে।'
꧅একইসুরে তরুণী চিকিৎসকের মা দাবি করেন, যে তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, তাতে বোঝা গিয়েছে যে সঞ্জয় দোষী। কিন্তু মেয়ের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আরও যারা যুক্ত আছে, তাদের প্রশাসন আড়াল করছে বলে অভিযোগ করেন মা। তিনি বলেন, 'যা যা প্রমাণ ছিল, তা হারিয়ে গিয়েছে বা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল যখন অপরাধের জায়গায় গিয়েছিলেন, তখন প্রচুর লোকজন ওখানে ছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল যে ওটা মাছের বাজার। যাদের অপরাধের জায়গায় দেখা গিয়েছে, তাদের সকলকে শাস্তি দিতে হবে।'
কেন মেয়েকে এরকমভাবে হত্যা করা হল? জানতে পারেননি মা
𒆙মায়ের আক্ষেপ, তাঁর মেয়েকে কেন ওরকমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনও জানতে পারলেন না। এতদিন হয়ে গেল। কিন্তু সেই উত্তরটা তাঁকে কেউ দিতে পারলেন না বলে হতাশায় ভেঙে পড়েছেন। একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে যে গোপন কোনও ব্যাপার জেনে ফেলেছিলেন তরুণী চিকিৎসক, যা দুনিয়ার সামনে আনতে চায়নি কর্তৃপক্ষ।
ন্যায়বিচারের জন্য অনেকটা পথ হাঁটতে হবে, মত পরিবারের
෴নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, 'আমার মনে হয় যে সঞ্জয় একা ছিল না। আরও অনেকে আছে, যারা অপরাধে যুক্ত আছে। কিন্তু ওরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আশা করব যে ওদের ধরা হবে। আর ওদের অপরাধ প্রমাণিত হবে। ততক্ষণ ন্যায়বিচার মিলবে না।' একইসুরে মা বলেছেন, 'আমরা মেয়েকে পড়ানোর জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। ও খুব বুদ্ধিমান এবং প্রতিভাবান মেয়ে ছিল। আমার মনে হয়, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আমাদের আরও অনেকটা পথ হাঁটতে হবে।'