অবশেষে সইফ আলি খান কেসের মূল অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে খানের কাছে অবস♒্থিত একটি ম্যানগ্রোভ জঙ্গল থেকে আটক করা হয় সেই ব্যক্তিকে। তারপরই এদিন তাঁকে পেশ করা হল বান্দ্রা কোর্টে।
আরও পড়ুন: বক্স অফিসে খরা কাটল কঙ্গনার! দ্বিতীয় দিনেও জমাটি ব্যবস♓া ইমারജজেন্সির, কত লক্ষ্মীলাভ হল?
কী ঘটেছে?
জানা গিয়েছে রবিবার হওয়া সত্বেও ১৯ জানুয়ারিই সইফ আলি খানের হামলাকারীকে কোর্টে পেশ করা হল। এদিন তাঁকে খার থানা থেকে বান্দ্রা কোর্টে পেশ করা হয়েছে। যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা গিয়েছ🎃ে হামলাকারীর পরনে নীল শার্ট, প্যান্ট। তাকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে সেই ব্যক্তি নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। জানিয়েছে মাত্র ৮ মাস আগেই তিনি বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসে। এরপর সে মুম্বইয়ের কথা শুনে এখানে এসে কাজ শুরু করে পরিচারক হিসেবে। এক এজেন্সির তরফে কো꧅নও যাচাই না করেই তাঁকে কাজে রাখ হয়। পুলিশের তরফে সেই এজেন্সির মাথাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে জিজ্ঞাসাবাদে সেই ব্যক্তি এও জানিয়েছে যে সে জানত না ওই বাড়িতে সইꦰফ আলি খান থাকেন। তাকে বলা হয়েছিল এই এলাকায় খালি বড়লোকেরা থাকেন। এই তথ্য মহারাষ্ট্রের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী এবং ♔এনসিপি প্রধান অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন।
আর কী তথ্য প্রকাশ্যে এল?
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তাঁরা এই ব্যক্তির ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়েছেন। আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সেই ব্যক্তি পুলিশ কাস্টডিতে থাকবে। এই কদিনের মধ্যে পুলিশ জানার চেষ্টা করবে তাকে কি কেউ এই বাড়িতেই ঢুকতে হবে তেমন নির্দেশ দিয়েছিল, ভারতে সে ঠিক কীভাবে ঢোকে স🌠েসব তথ্য। একই সঙ্গে সইফ আলি খানকে সে যে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে সেটা তিন টুকরো হয়েছে দুটো টুকরো পাওয়া গ⭕েলেও বাকি একটা টুকরো পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে সেই ব্যক্তি যে পোশাক পরে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সেটাও বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
প্রসঙ্গত এদিন সকালেই প্রকাশ্যে আসে যে সইফ আলি খানকে যে ব্যক্তি হাম🤡লা করেছে সে আসলে বাংলাদেশি। সে পুলিশের হাতে ধরা 👍পড়ার পর কখনও নিজের নাম বিজয় দাস জানিয়েছে তো কখনও মহম্মদ ইলিয়াস বলেছে। পরে জানা যায় তার আসল নাম মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। এই ব্যক্তির বয়স ৩০।
মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এই ব্যক্তিকে তারা থানে এলাকার কাছে হিরানন্দানি এস্টেটে TCS কল সেন্টারের ঠিক পিছনে থাকা নির্মী♒য়মান মেট্রোর কাছে অবস্থিত একটি ঘন ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল। শুকনো পাতায় ঢেকে রেখেছিল সেই ব্যক্তি নিজেকে। পুলিশ ওই জায়গায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে দেখে কেউ মাটিতে ঘুমাচ্ছে। কিন্তু পুলিশের আগমন টের পেতেই সে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কাজে দেয়নি। সেখানে উপস্থিত থাকা প্রায় ১০০ জন কর্মীর চোখ এড়িয়ে পালানো সম্ভব হয়নি। সেখান থেকেই তাঁকে আটক করে খার থানায় আনা হয়। পরে বান্দ্রা কোꦿর্টে পেশ করা হল।