💛৯০-এর দশকে বাংলা ছবির শিশু চরিত্র বলতেই সবার প্রথমে যাঁর নাম দর্শকদের মনে আসে তিনি হলেন সোহম চক্রবর্তী। পরে তিনি নিজেই তাঁর সেই ইমেজ ভেঙে পুরোদস্তুর হিরো হয়ে পর্দায় ধরা দেন। 'প্রেম আমার' থেকে 'বোঝে না সে বোঝে না', ‘অমানুষ’-এর মতো হিট ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু বর্তমানে তাঁকে নিয়ে আর সেভাবে কাজ হতে দেখা যায় না। কিন্তু এই বিষয়ে অভিনেতার কী মত? জানালেন সোহম।
ౠনায়কের হাত ধরে বাংলা ছবিতে ফের আসতে চলেছে নতুন গোয়েন্দা। এবার তিনি ‘ফেলুবক্সী’। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে 'শাস্ত্রী'র পর ফের তিনি ফিরছেন বড় পর্দায়। কিন্তু যে রকম দক্ষ অভিনেতা, তারপরও তিনি তেমন মনে রাখার মতো চরিত্র পান না বর্তমানে। এই প্রসঙ্গে সহমত হয়ে সোহম এই সময়কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হ্যাঁ, তেমন ভাবে আমাকে নিয়ে ভাবা হয়নি। হয়তো ভরসা রাখতে পারেননি কেউ। আগে ভীষণ হতাশ হতাম। পরিবারের সমর্থনে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এখন মনে হয় সাফল্য- ব্যর্থতা দুটোকেই গ্রহণ করতে হবে। ছেলেরা বড় হচ্ছে। ওরা জীবনে যা করতে চাইবে, আমি ওদের পাশে থাকবে। এখন থেকেই আমি ওদের বাবা কম, বন্ধু বেশি।’
ꦛতাঁর কথায় ‘এখন আর নিরাশ হলে চলবে কেমন করে।’ কারণ বাবা হিসেবে সন্তানদের উপর কিছু চাপিয়ে দিতে চান না সোহম। কিন্তু তবু তাঁর মনের কোণে একটা সুপ্ত বাসনা রয়েছে, তিনি চান বড় ছেলে আইএএস হোক আর ছোট ছেলে আইপিএস।
ꦅছোটবেলা থেকে তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তী দেখেই বড় হয়েছেন। অভিনেতার জানান তাঁদের দেখেই ছবি বানানোর ইচ্ছে হয়েছিল মনে। তবে তখন সপ্তাহের পর সপ্তাহ ছবি চলত। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সবই দর্শকদের হাতের নাগালে। নায়কের দিনলিপিও এখন সবার হাতের মুঠোয় তাতেই নাকি কমছে আকর্ষণ।
আরও পড়ুন: ℱডাকাতির আগের রাতে কোথায়-কাদের সঙ্গে ছিলেন সইফ পত্নী করিনা? জানলে অবাক হবেন
🧔প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পাবে সোহমের 'ফেলুবক্সী'। এই ছবিতে তিনি ছাড়াও রয়েছেন পরীমণি। ঢালিউডের পর এই প্রথম এই ছবির হাত ধরে তিনি টলিউডে পা রখতে চলেছেন। দেবরাজ সিনহার ছবিতে তিনি ছাড়াও থাকবেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার।