🐽 সত্যিই ডিভোর্স হচ্ছে নাকি প্র্য়াঙ্ক! সুদীপ-পৃথার সম্পর্কের স্ট্যাটাস নিয়ে দু'দিন ধরেই ধ্বন্দে নেটপাড়া। ৫ এপ্রিল শনিবার ডিভোর্স ঘোষণা করেই পোস্ট করেছিল অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী পৃথা চক্রবর্তী। যদিও পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করে যান অভিনেতা। উল্টো সুরে তিনি বলেন, ‘আমরা এক ছাদের তলাতেই আছি।’ এখানেই শেষ নয়, পৃথার পোস্টের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ভিডিয়ো বার্তায় অভিনেতা বলেন, ‘পুরোটাই নাকি রসিকতা!' নেহাতই নাকি প্র্য়াঙ্ক করে এই পোস্ট করেছিলেন স্ত্রী পৃথা।
🧔এরপর আরও ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের 'পাল্টি' খেলেন অভিনেতা! সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে এবার 'চিরসখা' স্বতন্ত্র ওরফে অভিনেতা সুদীপ জানাচ্ছেন ডিভোর্সটাই আসল সত্যি।
ঠিক কী পোস্ট করেছেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়?
🌄অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায় লেখেন, ‘হ্যাঁ, এটাই সত্য়ি যে আমি আর পৃথা আলাদা হয়ে গিয়েছি। তবে এটা খুবই ব্যক্তিগত বিষয়, তাই আমি চাইনি, এটা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যার্টফর্মে উঠে আসুক। তাই ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছি। তবে কিছু নেটিজেন পৃথাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছেন, আমি এর তীব্র নিন্দা করছি। ও আমার সন্তনদের মা। আর তাছাড়া আমরা একে অপরকে সম্মান করি। তবে আমরা বন্ধু থাকব যতটা সম্ভব। বাকিটা ব্যক্তিগতই রাখতে চাই।’
ℱআরও পড়ুন-‘আমাদের ডিভোর্স হয়েছে’, পোস্ট করেছিলেন স্ত্রী, সুদীপ বলছেন, 'পৃথা আসলে প্র্য়াঙ্ক করেছে…'

♚প্রসঙ্গত, শনিবার ডিভোর্সের খবর শুরুতে পোস্ট করেছিলেন সুদীপের স্ত্রী, নৃত্যশিল্পী পৃথা চক্রবর্তী। যদিও রবিবার সুদীপ বিষয়টা প্র্যাঙ্ক বলে খারিজ করে দেওয়ার পর সেই পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছিলেন পৃথা। তবে তারপরও একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেই চলেন তিনি। একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘Dear Women, His new woman was never New, You just never Knew.’ অর্থাৎ নারীদের উদ্দেশ্যে পৃথা লেখেন, ‘পুরুষদের জীবনে কোনও নতুন মহিলাই নতুন ছিলেন না। আপনাদের হয়ত সেকথা জানা নেই।’
🍨আরও একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘Jo dikhta hai woh hota nahi, jo hota hai woh dikhta nahi....’ (যেটা দেখা যায়, সেটা আদপে ঘটে না, যেটা ঘটে, সেটা দেখা যায় না।) ফের লেখেন, ‘Sometimes, you need to stop saying sorry, and start saying Yes, I didi it so What?’ (কখনও কখনও, আপনাকেও সরি বলা বন্ধ করতে হবে, এবং হ্যাঁ বলতে শুরু করতে হবে, আমি তাই করেছি, তাই নয় কি?)
♋এমনই একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করতে থাকেন পৃথা। যা দেখে নেটিজেনদের অনেকেই সন্দেহ করেন, 'বিষয়টা আদৌ রসিকতা তো! নাকি সত্যিই'। কেউ কেউ আবার এরই মধ্যে পৃথাকে ট্রোল করতেও ছাড়েননি।
ꦿএদিকে ৭ এপ্রিল, সুদীপের স্বীকারোক্তির আগে সর্বশেষ পোস্টে পৃথা লেখেন, ‘If matters are constantly morally questionable when done by women, but not even morally questioned when done by men- then we, as a society, fundamentally have no morals’। অর্থাৎ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দিকেই আঙুল তোলেন পৃথা। তাঁর বক্তব্যের বংলা তর্জমা করলে দাঁড়া., যে যখন মহিলারা এটা করে, তখন ক্রমাগত প্রশ্ন তোলা হতে থাকে। তবে যখন পুরুষ এটা করে তখন কিন্তু প্রশ্ন ওঠে না। এটাই আমাদের সমাজ, আর সমাজের নৈতিকতা।
ཧপ্রসঙ্গত, দামিণী বেণি বসু-র সঙ্গে একসময় ৮ বছরের দাম্পত্য ভেঙে বেরিয়ে আসেন সুদীপ। তখন তাঁদের মেয়ে চিনির বয়স ছিল মাত্র ৭। ২০১৩ সালে সেই সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন তাঁরা। আর তার দু বছর পর, ২০১৫ সালে বিয়ে করেন সুদীপ ও পৃথা। তবে বিয়ের বয়স ১০ হওয়ার আগেই, এই বিয়েতেই দাঁড়ি পড়ল।