♏ কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা মহিলাদের মধ্যে খুব সাধারণ। একই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি দেখা যায়। গর্ভাবস্থা ছাড়াও, বেশিরভাগ মহিলারা মেনোপজের সময় এবং 30 বছর বয়সে কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে লড়াই করে। আর কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায় এবং এর কারণে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কীভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত তা জেনে নিন।
কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা কি একে অপরের সাথে সম্পর্কিত?
⭕ কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা একে অপরের সাথে সম্পূর্ণভাবে সম্পর্কিত কিনা তা নিয়ে খুব বেশি গবেষণা নেই। কিন্তু মেডিকেল নিউজ টুডে অনুযায়ী, উচ্চ ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কারণ। প্রকৃতপক্ষে, ইস্ট্রোজেন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট অর্থাৎ জিআই নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট হজম ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ যা পেট এবং অন্ত্র অন্তর্ভুক্ত করে এবং শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য মল পাস করতে অসুবিধা সৃষ্টি করে এবং উচ্চ ইস্ট্রোজেনের মাত্রা জিআই ট্র্যাক্টকে ধীর করে দেয়। একটি 2019 সমীক্ষা অনুসারে, ইস্ট্রোজেন এবং স্ট্রেস একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। যার কারণে মস্তিষ্ক ও অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উচ্চ ইস্ট্রোজেন কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করে
💧 শরীরে ইস্ট্রোজেনের উচ্চ মাত্রার কারণে কোলনের পেশী শক্ত হয়ে যায় এবং পেলভিক পেশী দুর্বল হতে শুরু করে। যার কারণে জিআই ট্র্যাকের সাহায্যে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করতে সময় লাগে। আর কোষ্ঠকাঠিন্য শুরু হয়।
কিভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন
🌳 হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হরমোন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এই 3টি জিনিস এটির জন্য সহায়তা করবে।
প্রোবায়োটিক খাবার
🥃 প্রোবায়োটিক খাবার খাওয়া মলত্যাগকে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। যার কারণে ভালো ব্যাকটেরিয়া দ্রুত তৈরি হয় এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
হলুদ পানীয়
ও কারকিউমিন হল হলুদে উপস্থিত সক্রিয় উপাদান যা প্রদাহরোধী হিসাবে কাজ করে। হলুদের সাহায্যে এটি মলত্যাগের পথে প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে।
ব্রকলির মতো সবজি খান
🌸 আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে চান এবং মলত্যাগ বাড়াতে চান, তাহলে ক্রুসিফেরাস সবজি খান। ব্রোকলি, কালে এবং ফুলকপিতে অনেক পুষ্টি রয়েছে যা ইস্ট্রোজেনের লোড কমায়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।