ꦯ খারাপ যুবকদের সঙ্গে মেলামেশা করায় বকাঝকা করেছিলেন মা এবং দাদা। সেই অভিমানে বন্দুক দিয়ে গুলি করে নিজের জীবন শেষ করে দিল কিশোর। তবে আত্মহত্যার আগে মৃত্যুর পরবর্তী জীবন কেমন হবে? বিশেষ করে আত্মার শান্তি কীভাবে মিলবে? সেই সংক্রান্ত তথ্য গুগলে সার্চ করেছিল কিশোর। এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মিরাটের ভবনপুর থানা এলাকায়।
আরও পড়ুন: 🃏আইআইটি খড়গপুরে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্য, খুন না আত্মহত্যা?
💧জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের বয়স ১৫ বছর। সে নবম শ্রেণির পড়ুয়া। পুলিশ জানতে পেরেছে, আত্মহত্যার জন্য কিশোর যে পিস্তল ব্যবহার করেছে সেটি অবৈধ ছিল। ইতিমধ্যে এই পিস্তল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাকেশ কুমার মিশ্র বলেছেন, যে কিশোর কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছে তা তদন্ত করার জন্য একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।রবিবার তার দাদা তাদের মাকে বাইরে নিতে গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পরে তারা কিশোরকে এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে দেখেন। এরপর তারা কিশোরকে খারাপ ব্যক্তিদের সঙ্গে মেলামেশা করার জন্য বকাঝকা করেছিলেন। এরপরই কিশোর নিজেকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার আগে ছেলেটি পুরাণ সংক্রান্ত ভিডিয়ো দেখেছিল। বিশেষ করে আত্মহত্যার পরিণতি এবং মৃত্যুর পরে আত্মার যাত্রার নিয়ে ভিডিয়ো দেখেছিল কিশোর।
🦋পুলিশ জানিয়েছে, নিজেকে গুলি করার কিছুক্ষণ আগে গরুড় পুরাণে আত্মহত্যার শাস্তি সম্পর্কে ভিডিয়ো দেখেছিল কিশোর। গুগল এবং ইউটিউবে এই সমস্ত তথ্য অনুসন্ধান করেছিল কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে শহরের অ্যাপেক্স কলোনিতে।
ไপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কিশোর ‘গরুড় পুরাণ’ অনুসন্ধান করেছিল মোবাইলে। এটি হিন্দুধর্মের ১৮টি ‘মহাপুরাণ’- এর মধ্যে একটি ছিল। এই পুরাণে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং মৃত্যুর পরের জীবন সম্পর্কে অধ্যায় রয়েছে। তাই মৃত্যুর পর কি হয়? তা নিজেকে গুলি করার আগে ছাত্রটি অনুসন্ধান করেছিল। পুলিশ তার মোবাইল পরীক্ষা করে এই তথ্য জানতে পারে। সাধারণত, পরিবারের কারও মৃত্যুর পর হিন্দুরা প্রায়ই গরুড় পুরাণ শুনে থাকেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই পুরাণ শ্রবণ করা হোক মৃত আত্মা শান্তি পাবে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ছাত্রের একটি মোটরবাইক ছিল। তবে পরিবারের সদস্যরা মনে করতেন সেটি বিক্রি করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানান, আত্মহত্যার আগে ওই ছাত্র ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।