একদিকে দেশে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ১০০টিরও বেশি পিটিশন জমা পড়েছে। অন্যদিকে বাংলায় ওয়াকফ নিয়ে হিংসার আগুন জ্বলেছে বিগত কয়েকদিনে। তবে এই সবের মাঝেই ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে মুসলমানদের একটি বড় অংশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। এই আবেহে ১৭ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। (আরও পড়ুন: ১৪টি জঙ্গি হামলায় অভিযুক্ত 💞খলিস্তানি গ🐻্রেফতার আমেরিকায়, ভারতের মুখে ফুটল হাসি)
আরও পড়ুন: কর্মফল ভোগ করছে বাংলাদেশ? পড়শি দেশকে💮 দেꦺওয়া 'শাস্তি' নিয়ে অকপট ভারত
বোহরা সম্প্রদায়ের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানিয়েছেন যে তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই ওয়াকফ সংশোধনী। এবং প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস'-এর দর্শনে বিশ্বাস করেন♏ তাঁরা। বৈঠকে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও উপস্থিত ছিলেন। পরে এক্স-এ একটি পোস্টে মোদ🙈ী লেখেন, 'দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে দারুণ বৈঠক হল। কথোপকথনের সময় আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছি।'
কথোপকথনের সময় বোহরা সম্প্রদায়ের এক সদস্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানান যে তাঁরা ১৯২৩ সাল থেকে ওয়াকফ বিধি থেকে ছাড়ের দাবি জানিয়ে আসছেন। নতুন আইনের মাধ্যমে 'সংখ্যালঘুদের👍 মধ্যে সংখ্যালঘুদের' যত্ন নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করেন বোহরা সম্প্রদায়ের সেই সদস্য। প্রতিনিধি দলের অপর এক সদস্য জানান, ২০১৫ সালে তাঁদের সম্প্রদায় মুম্বইয়ের ভিন্ডি বাজারে একটি প্রকল্পের জন্য একটি দামি সম্পত্তি কিনেছিল এবং তারপরে নাসিকের 🐼এক ব্যক্তি ২০১৯ সালে এটিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে দাবি করেছিল। এই আবহে সংশোধিত ওয়াকফ আইনে তাঁরা খুশি বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, এই ওয়াকফ সংশোধনী বিলটি প্রথমে জেপিসিতে পাঠানো হয়েছিল। যৌথ সংসদীয় কমিটিতে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হয় এটি নিয়ে। এরপর এখন ফের এটি সংসদে উপস্থাপিত হয়। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়েছে। শাসক দল বলছে, মুসলিমদের স্বার্থেই এই ওয়াকফ সংশোধনী বিল আনা হচ্ছে। বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, এই বিলে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। তবে এই সবের মাঝেই লোকসভার এবং রাজ্যসভাতে পাশ হয়েছ🐟িল ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। রাজ্যসভায় এই বিলটি পাশ করাতে বিজেপির প্রয়োজন ছিল ১১৯টি ভোটের। তারা সেই সংখ্যা থেকে বেশ কিছুটা বেশি ভোটই পায়। ৩৩ ভোটের ব্যবধানে বিলটি পাশ হয় সংসদের উচ্চকক্ষে। এর পক্ষে পড়েছিল ১২৮টি ভোট, বিপক্ষে পড়ে ৯৫টি ভোট। এর আগে লোকসভায় এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ২৮৮ জন সাংসদ, বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ২৩২ জন সাংসদ। আর ৪ এপ্রিল রাতে রাষ্ট্রপতি এই বিলে সই করেন। এই আবহে এটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওয়াকফের অধীনে ভারতে মোট ৮.৭ লক্ষ সম্পত্তি আছে। ৯.৪ লক্ষ একর জমি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে ওয়াকফ। যার আনুমানিক মূল্য ১.২ লক্ষ কোটি টাকা। দেশে সবচেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি আছে উত্তরপ্রদেশে (২,৩২,৫৪৭, দেশের মোট ওয়াকফ সম্পত্তির ২৭ শতাংশ)। তারপরই তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গ। রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে মোট ৮০ হাজার ৫৪৮টি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। বাংলায় ওয়াকফ সম্পত্তির ওপরে রয়েছে ১৫৮টি স্কুল, ৪টি মডেল ইংলিশ মিডিয়াম মাদ্রাসা, ১৯টি মুসলিম হস্টেল, ৯টি 𒁃হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্🐻দ্র। বীরভূমে ওয়াকফের জমির ওপরে রয়েছে একটি শপিং কমপ্লেক্সও। তবে এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতে ওয়াকফের বার্ষিক আয় নাকি মাত্র ১৬৩ কোটি টাকা। এই আবহে বিজেপি ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। এই আবহে ওয়াকফ পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনতেই নাকি এই সংশোধনী আইন আনা হয়েছে।