বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বাণিজ্য নীতি ও বিবৃতির কারণেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করা হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে স্পষ্ট ভাষায় সত্যিটা জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি জানান, ভারতের বন্দর ও বিমানবন্দরগুলোর যানজট নিরসনের লক্ষ্যেই বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার অবসান ঘটানো হয়েছে। তবে এরই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে মন্তব্য করেন, 'আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট সংক্রান্ত পদক্ষেপ করার আগে বাংলাদেশ কী কী সব পদক্ষেপ করেছিল।' (আরও পড়ুন: ১৪টি জঙ্গি হামলায় অভিযুক্ত খলিস্তানি গ্রেফতা♔র আমেরিকায়, ভারতের🎃 মুখে ফুটল হাসি)
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিয়েছিল ভারত। সম্প্রতি তা প্রত্যাহার করে নেয় দিল্লি। এরপর বাংলাদেশের তরফ থেকে বড় বড় দাবি করা হলেও সম্প্রতি সেই দেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা মেনে নেন, ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ফলে তাদের ২০০০ কোটি টাকা বেশি খরচ হয়েছে পণ্য রফতানিতে। এদিকে এদিকে ভারতের দাবি, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ হওয়ার আগেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এমন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছিল, যা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। গত মার্চে ভারতের সঙ্গে তিনটি স্থলসীমান্ত বন্ধ ও সুতো আমদানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এর আগে জানুয়ারিতে বাংলাদেশ বেনাপোল কাস্টমস হাউসের♒ ওপর নজরদারি 'কঠোর' করার ঘোষণা করেছিল। এদিকে বাংলাদেশের বস্ত্র প্রস্তুতকারকরা ইতোমধ্যে সরকারকে সতর্ক করে বলেছে, ভারত থেকে সুতো আমদানি নিষিদ্ধ করা হলে তা রফতানি শিল্পের জন্য আত্মঘাতী হবে।
অপরদিকে বাংলাদেশ যখন ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক নষ্ট করে চলেছে, তখনই তারা পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যও শুরু𝓰 করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রেডিং করপোরেশন অফ পাকিস্তানের (টিসিপি) মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয় 💞বাংলাদেশ। এই ঘটনাগুলি ভারতীয় কর্মকর্তাদের উদ্বেগকে আরও গভীর করেছে কারণ বাংলাদেশে চরমপন্থার ক্রমবর্ধমান লক্ষণ এবং পাকিস্তানের সাথে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত পাকিস্তানকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল বলে মনে করে। সূত্র জানায়, পাকিস্তান এখন বাংলাদেশে রফতানি বাড়ানোর সুযোগ খুঁজছে। বেশ কয়েক বছর পর দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালোচ ঢাকায় গিয়ে বৈঠক করেছেন ইউনুসের সঙ্গে এবং বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করবেন।