ꦬ গত বছর কেরলের ওয়ানাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে ভূমিধসের ফলে কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এছড়াও নিখোঁজ হয়েছিলেন বহু মানুষ। তবে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজদের না পাওয়ায় ৫ মাস পর তাদের মৃত ঘোষণা করতে চলেছে কেরল সরকার। প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, গত ৩০ জুলাই পুনচিরিমাত্তম, চুরামালা এবং মুন্ডক্কাই গ্রামে ভূমিধসের ফলে নিখোঁজ হয়েছিলেন ৩৫ জন। এছাড়াও নিহত হয়েছিলেন ২৬৩ জন। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজদের মৃত ঘোষণা করার লক্ষ্য হল তাদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা।
আরও পড়ুন: ♍খুব বিপদ! কেরলে ধসের খবর প্রথম দিয়েছিলেন যে মহিলা তাঁর কী হল?
ꦉএই অবস্থায় মৃতদের পরিবারকে শংসাপত্র দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগেই তাঁদের নামে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে। রেশন কার্ড এবং পাসবুকের মতো প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। মহকুমা শাসক এরপর তদন্ত করে দেখবেন। পরে সরকারি বিজ্ঞপ্তি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। মৃত্যু শংসাপত্র ইস্যু করার আগে আপত্তি থাকলে ৩০ দিনের সময় দেওয়া হবে।
ﷺরাজস্ব ও আবাসন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি টিঙ্কু বিসওয়ালের জারি করা আদেশ অনুসারে, প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাজ্য-স্তরের এবং স্থানীয়-স্তরের কমিটি গঠন করা হবে। গ্রাম আধিকারিক, পঞ্চায়েত সচিব এবং স্টেশন হাউস অফিসারের সমন্বয়ে স্থানীয়-স্তরের কমিটি বিস্তারিত তথ্য যাচাই করবে এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে পাওয়া যায়নি তা নিশ্চিত করে বিশেষ তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করবে।
🎀এরপর রিপোর্ট জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষ সেগুলি খতিয়ে দেখবে। পরে রাজ্য-স্তরের কমিটিতে পাঠাবে। রাজ্য-স্তরের কমিটিতে রয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র), প্রধান সচিব (রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা), এবং প্রধান সচিব (স্থানীয় স্ব-শাসন)। এই কমিটি সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখবে। পরে রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠাবে। এই সুপারিশগুলির উপর ভিত্তি করে, সরকার নিখোঁজ ব্যক্তিদের আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত হিসাবে ঘোষণা করার আদেশ জারি করবে।
🌠রাজস্ব মন্ত্রী কে রাজন জানান, যে নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত হিসাবে ঘোষণা করতে সাধারণত সাত বছর সময় লাগে। তবে জরুরি পরিস্থিতির কারণে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের পরিবারকে পরিবারকে যেভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছে, সেরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিখোঁজদের সংখ্যা কমেছে কারণ পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে।
ꦫউল্লেখ্য, ৩০ দিনের সময়ের পরে সহকারী-জেলা শাসক আনুষ্ঠানিকভাবে নিখোঁজ ব্যক্তিদের মৃত হিসাবে ঘোষণা করবেন। পঞ্চায়েত সচিবরা তখন মৃত্যু শংসাপত্র দিতে পারবেন। জানুয়ারি মাসেই প্রথম ধাপের কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।