চলতি ISL-এ দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন আর্মান্দো সাদিকু। গত মরশুমে মোহনবাগানে খেলে ভারতীয় ফুটবলে হাতেখড়ি, বর্তমানে এফসি গোয়ায় রয়েছেন তিনি। নতুন দলের হয়ে মাঠে নেমেই নিয়মিত গোল পাচ্ছেন সাদিকু। এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগের গোল্ডেন বুট জয়ের অন্যতম দাবিদার তিনি। গত মরশুমে মোহনবাগানের হয়ে সেই ভাবে খেলার সুযোগ পাননি। তবে যতবার সুযোগ পেয়েছেন সেটাকে কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২৪-২৫ মরশুম শুরু হওয়ার আগে তিনি দল পরিবর্তন করায় বেশ অবাক হয়েছিলেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা। তাঁদের মনে প্রশ্ন ছিল কেন সাদিকু দল পরিবর্তন করল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রশ্নের জ꧋বাব দিয়েছেন এই ফুটবলার। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও বেশ দাপটের সঙ্গে খেলে এসেছেন সাদিকু। আলবেনিয়ার হয়ে ৩৯ ম্যাচে ১২ গোল করেছেন তিনি।
এফসি গোয়ায় ইউরোপীয় পরিবেশ রয়েছে:
কলকাতায় আসার আগে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে বেশ নাম ডাকের সঙ্গেই খেলে এসেছেন তিনি। মোহনবাগানে যোগ দেওয়ার আগে স্পেনের ক্লাব কার্টাজেনার হয়ে খেলতেন সাদিকু। সেখানে ২৮ ম্যাচে ৮ গোল করেছিলেন তিনি। ভারতে ফুটবল খেলতে হবে ভেবে সাদিকু ভেবেছিলেন বিষয়টা সহজ হবে। কারণ দিনের শেষে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে রয়েছে আমাদের দেশ! তবে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে চাপাতেই তিনি বুঝতে পারেন বিষয়টি এতটাও সহজ নয়। সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ অনেকটা। তবে গোয়ায় চাপ অনেক কম বলে জানিয়েছেন এই আলবেনিয়ান ফুটবলার। সাক্ষাৎকারে সাদিকু বলেন, ‘কলকাতার থেকে গোয়া অনেকটা আলাদা। এখানে খোলা মনে খেলা যায়। গোয়ায় কোনও চাপ নেই। দলের&nb💮sp;সবাই সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকে। এছাড়াও ক্লাবের মধ্যে একটা ইউরোপীয় পরিবেশ রয়েছে। সেই কারণে এখানে নিজেকে অনেক বেশি মুক্ত মনে করি।’
কেন মোহনবাগান ছাড়লেন সাদিকু?
আর্মান্দো জানিয়েছেন মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট তাঁকে জানিয়েছিল যে দল আরও একজন স্ট্রাইকারকে নিতে চায়। তারা এও জানিয়েছিল যে এর ফলে প্রথম একাদশে সাদিকুর সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তারপরেই গোয়ার কাছ থেকে প্রস্তাব পান। ৩০ মিনিটের আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দল ছাড়ার। তিনি বলেন, ‘ক্লাবে একটা মিটিং হয়েছিল। আমার তরফে নয়, ম্যানেজমেন্টের তরফে। তারা আমায় বলেছিল, আমরা একজন নতুন স্ট্রাইকারকে সই করাতে চাই। হয়তো তোমার পক্ষে বিষয়টা কঠিন হয়ে পড়বে। আমি বলেছিলাম, আমি এখানে থাকতে চাই। কারণ, আমি খেলব! এরপরে যখন কথা চলছিল তখন গোয়ার প্রস্ꦓতাব এসে পড়ে। মানোলোর সঙ্গে কথা হয়। আমার তার সঙ্গে আগে পরিচয় হয়েছিল। এখানে কীভাবে দল চলে তা সে জানাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚয়। এর ৩০ মিনিটের মধ্যে এখানে থাকা কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলি, যেমন হুগো বুমোস। সে মোহনবাগানে আমার ভালো বন্ধু ছিল। ও গোয়া সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলে। তারপরেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।