෴ কালিয়াচকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুন। আর এই ঘটনায় যুক্ত আততায়ীদের ধরতে ড্রোনের সাহায্য নিল পুলিশ। আজ, বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরের এক বিশাল মাঠ এলাকায় ড্রোন ওড়ায় পুলিশ। কালিয়াচকের ঘটনার পর এখন পেরিয়ে গিয়েছে দু’দিন। এখনও গ্রেফতার করা যায়নি মূল অভিযুক্ত জাকির শেখকে। স্নিফার ডগের গতিবিধির উপর ভিত্তি করে অভিযুক্তের খোঁজে আজ ওই এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা ওড়াল পুলিশ। তবে এখনও নতুন করে কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা সম্ভব হয়নি।
💟এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ এবং তাঁর ভাই তথা প্রাক্তন অঞ্চল প্রধান এসারুদ্দিন শেখ এখনও চিকিৎসাধীন। বুধবার পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তাকে জেরা করে নতুন কোনও তথ্য মেলেনি বলেই সূত্রের খবর। মঙ্গলবার মালদার কালিয়াচকের নওদা–যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সালেপুর নয়াবস্তি এলাকায় আততায়ীদের হামলায় খুন হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হাসা শেখ ওরফে আতাউর। তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখকেও খুনের চেষ্টা করা হয়। গুরুতর জখম হন বকুল ও তাঁর ভাই এসারুদ্দিন। এই ঘটনায় ১০ জনকে আটক এবং একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু পলাতক মূল অভিযুক্ত জাকির। তাই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আসি, ভাল থেকো’, আদালত চত্বরে দেখা হতেই অর্পিতাকে বলে গেলেন হতাশ পার্থ
অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নিহতের দেহে গুলির চিহ্ন মেলেনি। তবে পুলিশ এই দাবি করলেও ঘটনাস্থলে গুলির খোল পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্নিফার ডগ দিয়ে ঘটনাস্থল–সহ আশপাশের এলাকায় চিরুণী তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। আর প্রশিক্ষিত পুলিশ কুকুর ঘটনাস্থল থেকে গন্ধ শুঁকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে গিয়ে জালালপুরের বালুয়াচড়া এলাকায় থেমে যায়।🦹 তারপর পুলিশ কুকুর আর আততায়ীদের কোনও ঘ্রাণ পায়নি। তাই পলাতক আততায়ীরা জালালপুরের বালুয়াচরা এলাকায় আত্মগোপন করে কোনও ডেরায় রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। বৃহস্পতিবার এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে ড্রোন ওড়ানো হয়।
এছাড়া মালদা তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর দুলাল সরকার খুনের ঠিক ১২ দিনের মাথায় কালিয়াচকে নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটে। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে। এই নৃশংসতার দৃশ্য সামনে আসতেই আলোড়ন পড়ে যায়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জাকির শেখ এখনও পলাতক। তাকে কেন এখনও গ্রেফতার করা গেল না?🔜 উঠছে প্রশ্ন। কালিয়াচক কাণ্ডে অভিযুক্ত জাকির শেখ এখানে লুকিয়ে থাকতে পারে বলেই তার খোঁজে আজ ওই এলাকায় পুলিশ ড্রোন ওড়ায়। কিন্তু হদিশ মেলেনি। তাই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে টহলদারি পুলিশ। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব স্থানীয়া বাসিন্দারা।