ꦡ আবার সেজে উঠছে দুশো বছরের বেশি পুরনো মহিষাদল রাজবাড়ি। এই রাজবাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে। নন্দকুমারে নেমে যেতে হয় মহিষাদল। যেখানে মহিষাদল রাজবাড়ি সাক্ষ্য হয়ে রয়েছে নানা ঐতিহাসিক ঘটনার। এই মহিষাদল রাজবাড়ি হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছিল। কিন্তু হেরিটেজ কমিশনের উদ্যোগে ইউরোপীয়ন স্থাপত্যের ধাঁচে এই প্রাসাদের সংস্কার ২০১৭ সালে শুরু হয়। কিন্তু অজানা কারণে তা থমকে যায়। জমি জটিলতায় বন্ধ হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী মহিষাদল রাজবাড়ির সিংহদুয়ার ওরফে রঙ্গিবসান প্যালেস সংস্কারের কাজ। অবশেষে নবান্নের হস্তক্ষেপে মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর উদ্যোগে জানুয়ারি মাসে শুরু হল সিংহদুয়ার সংস্কারের কাজ।
ꦛএদিকে ইতিমধ্যে এই রাজবাড়ি সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকারের হেরিটেজ কমিশন পূর্ত দফতরের মাধ্যমে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তবে কাজে ঢিলেমি না করে দ্রুততার সঙ্গে সংস্কার হোক চাইছেন মহিষাদল রাজ পরিবারের সদস্যরা। পুরনো প্রাসাদ সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়ছিল। নতুন প্রাসাদ তৈরি করে তাতে বসবাস শুরু করেন রাজবাড়ির সদস্যরা। ২০১৫ সালে মহিষাদল রাজবাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণা করে সংস্কার করার জন্য ৬ কোটি ৩১ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ করে দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রক। এই সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার পর করোনাভাইরাস এবং নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার সংস্থা।
আরও পড়ুন: ‘কোনও কাউন্সিলর যদি আপনাদের চাকর ভাবে, পাত্তা দেবেন না’, কর্মীদের বার্তা মদনের
অন্যদিকে মহিষাদল রাজবাড়ির এই সিংহদুয়ার ২০০ বছরের বেশি পুরনো। সংস্কারের অভাবে জীর্ণ হয়ে পড়েছিল। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের টাকায় রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তত্ত্বাবধানে রাজ্য পুরাতত্ত্ব বিভাগ ২০১৭ সালে সংস্কারের কাজ শুরু করে। তবে তার মাঝে দু’বার ঠিকাদার বদল হয়। এই প্রাসাদ হেরিটেজ হলেও সিংহদুয়ার ব্যক্তি মালিকানায় থাকার জেরে সরকারি হেরিটেজ কমিশনের টাকায় সিংহদুয়ার সংস্কার আটকে যায়।🍬 এরপর দ্রুত সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য প্রশাসনের কাছে একাধিকবার আবেদন জানান মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী কেমন করে জটিলতা কাটিয়ে পুরনো স্থাপত্য সংস্কার করা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেন। নবান্নে দফতরের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এছাড়া বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর উদ্যোগে দু’কোটি টাকা ব্যয়ে সিংহদুয়ার, ঠাকুরদালান এবং লালবাড়ির সংস্কার শুরু হয়। রাজ পরিবারের সদস্যকে নিয়ে নবান্নে গিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। হেরিটেজ কমিশনের প্রতিনিধিরা সিংহদুয়ারের অবস্থা খতিয়ে দেখেন। তারপর রাজ পরিবারের সঙ্গে রফাসূত্র বের করে জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয় সংস্কার কাজ। রাজ পরিবারের সদস্য সৌর্যপ্রসাদ গর্গ বলেন, ‘পুরনো বাড়ি সিংহদুয়ার সব দুর্বল হয়ে পড়ছে। দ্রুত সংস্কারের কাজ শেষ করতে না পারলে পুরনো প্রাসাদকে রক্ষা করা যাবে না।’ আর বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর বক্তব্য,♉ ‘আন্ডারটেকিং দিয়ে ওই জমিতে এখন সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এখন ২ কোটি টাকা এটার জন্য হেরিটেজ কমিশন পূর্ত দফতরকে দিচ্ছে। আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই সিংহদুয়ার আগের রূপে ফিরে আসবে। পর্যটনের বিকাশ ঘটবে।’