শিয়ালদা ডিভিশনে লেডিস কামরা বৃদ্ধি নিয়ে সম্প্রতি নানা ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। তবে গোটা বিষয়টি গুরুত্ব🐽 দিয়ে দেখছে রেল।
ডিআরএম শিয়ালদা দীপক নিগম গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন সাধারণত শিয়ালদা ডিভিশনে ১২ বগির ট্রেন চলে। আগে 🥀কিছু ট্রেন ছিল যেগুলি ৯ বগির। তার মধ্যে দুটি ছিল লেডিজ ও বাকিগুলি ছিল জেনারেল।
ডিআরএম জানিয়েছেন, প্রাপ্ত রেকর্ডে জানা গিয়েছিল, ২৫ শতাংশের বেশি মহিলা যাত্রী থাকেন এই ট্রেনগুলিতে। এবার ১২ কোচের যে ট্রেন চলছে তাতে তিনটি লেডিস ও বাকিগুলি জেনারেল কামরা। আগে দুটো ছিল লেডিস আরജ বাকিগুলি ছিল জেনারেল কামরা। বর্তমানে যে ৯টা থেকে ১২টা হয়েছে যে ট্রেনগুলি সেগুলিতে জেনারেল কামরাও বাড়ছে।
এদিকে মহিলাদের তরফে একটা দাবি ক꧂রা হয়েছিল যে তাদের জন্য কামরার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হোক। ২৫ শতাংশের বেশি মহিলা যান ট্রেনগুলিতে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন কিছু প্রতিবাদ সংঘটিত হচ্ছে। কিন্তু ২৫ শতাংশের বেশি মহিলা যান এই ট্রেনগুলিতে। সেই হিসেবের উপর নির্ভর করে লেডিস কামরা করা হয়েছে। তাঁদের সুরক্ষার দিকেও খেয়াল রাখে রেল।
সেই সঙ্গেই রেলের তরফে জানানো হয়েছে প্রয়োজনে লেডিস স্পেশাল ট্রেনও দেওয়া হꦅবে।
তবে এবার রেল স্টাডি করে দেখবে, মূল্যায়ন করে দেখবে কত মহিলা যাত্রী আসলে যাতায়াত করেন, কোথাও এর মধ্য়ে ফাঁকা থꦰাকছে কি না। সেক্ষেত্রে সেই প্রাপ্ত হিসেবের উপর নির্ভর করে দুটি, তিনটি অথবা চারটি কামরাকে জেনারেল যাত্রীদের জন্য বদলানো যেতে পারে।
আসলে শিয়ালদা ডিভিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল আগে ৯ কোচের ট্রেন ছিল। বর্তমানে তা হয়েছে ১২ কোচের। আগে ইএমইউ লোকাল ট্রেনের দুই প্রান্তে 💃দুটি করে মহিলা কামরা ছিল। তবে মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সেই সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। শিয়ালদ🉐া বিভাগের সমস্ত ইএমইউ রেকে (থ্রি-ফেজ লোকাল ট্রেন) অতিরিক্ত ১টি করে মহিলা কোচ (দু'প্রান্তের তৃতীয় কোচের অর্ধেক অংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত) সংযুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে অফিস টাইমে মহিলা যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। তবে লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পরেই সম্প্রতি আশোকনগর, বারাসত প্রভৃতি স্টেশনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পুরুষ যাত্রীরা। তাঁদের দাবি ছিল, মহিলা কোচ বৃদ্ধির ফলে সাধারণ কোচের সংখ্যা কমে যাবে।
এরপরই পূর্ব রেলের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, অফিস টাইমে শিয়ালদা বিভাগে মোট যাত্রীদের প্রায় ২৫ শতাংশ হলেন মহিলা। কোচ সংযোজনের ফলে মহিলা কামরাগুলিতে ভিড় অনেকটাই কমেছে। ফলে আগের ২টি মহিলা কোচের পাশাপাশি আরেকটি মহিলা কোচ সংযোজন ম𝔍হিলাদের যাত্রীদ🍰ের চাহিদা পূরণে অপরিহার্য ছিল।
তবে এবার আসলে কত মহিলা যান এই ট্🎃রেনগুলিতে তার হিসেবটা ফের খতিয়ে দেখার কথা জানাল রেল কর্তৃপক্ষ। তার উপর ভিত্তি করে জেনারেল কামরায় যাঁরা যান তাঁদের জন্য় আসতে পারে সুখবর।