জ্যোতি বসু গবেষণা কেন্দ্রে কি মুখ্যমন্♌ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ আর দু’দিনের মাথায় ন🎐িউটাউনে এই গবেষণা কেন্দ্র ভবনের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন হতে চলেছে। তারিখ আগামী ১৭ জানুয়ারি ২০২৫। জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের ভবনে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে জ্যোতি বসুর সঙ্গে যাঁদের রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক কিংবা সখ্য ছিল তাদের নানা ছবি এবং নথি থাকার কথা। সেই সূত্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার কথা। কারণ তিনি তখন রাজ্যের বিরোধী নেত্রী। এমনকী সাংসদও।
জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নানা সময়ে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারকেই উৎখাত করে ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই গ্যালারিতে কি থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই প্রশ্ন করা হয় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে। আর কোনও জবাব দিলেন না প্রবীণ সিপিএম নেতা বিমান বসু। বরং বিমানবাবুর জবাবে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই উদ্বোধ💝ন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার নিউটাউনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সিপিএম নেতা রবীন দেব, সুখেন্দু পানিগ্রাহী। সেখানে বিমানবাবুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, জ্যোতি বসু গবেষণা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবে কিনা?
আরও পড়ুন: এবার শিয়ালদা থেকেও মিলবে বন্দে ভারত, নতুন বছরেই সুখবর জানিয়ে দিল রেল, কবে থেকে?
এই প্রশ্নে প্রবীণ নেতা একটু চাপে পড়ে গেলেও দুঁদে রাজনীতিবিদ হওয়ার দরুণ জবাব দিয়েছেন সুকৌশলে। বিমান বসু বলেন, ‘যে বিষয়গুলি রেলিভেন্ট থাকবে সেগুলি নিশ্চয়ই থাকবে। ইরেলিভেন্ট বিষয় তো থাকে না। আজ অথবা কাল আমরা চলে যাব। কিন্তু সমাজ সভ্যতার প্রগতির ধারা চলবেই। তাই সেই সম্পর্কযুক্ত যে বিষয়গুলি আছে, ত♕ার সঙ্গে যে চরিত্রগুলি আছে, সেগুলি অবশ্যই গবেষণা কেন্দ্রের গ্রন্থাগার ও প্রদর্শনী কক্ষে থাকবে।’ সেক্ষেত্রে জ্যোতি বসুর সময় এবং পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাসঙ্গিক। তাই থাকতেই পারে। আবার জ্যোতি বসুর সম্পর্কযুক্ত হিসাবে ধরলে এখনের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী 🐟অপ্রাসঙ্গিক। সেক্ষেত্রে নাও থাকতে পারে।
এই ধোঁয়াশা সুকৌশলে রেখে দিয়েছেন বিমান বসু। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন সেটি ছিল জ্যোতি বসুর বিরুদ্ধে। আবার কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম প্রণাম করেছিলেন জ্যোতি বসুকে। সিপিএমের হাতে একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্যোতি বসুর অবসরের পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যান জ্যোতি বসুর কাছেই। তখন সিঙ্গুর–নন্দীগ্রাম নিয়ে উত্তাল বাংলা। তাই জ্যোতিবাবু গ্যালারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থান পাওয়ার কথা। কিন্তু বিমান বসুর বক্তব্য, ‘অনুমান করে কিছু বলতে পারছি না। যা প্রাসঙ্গিক, তাই থাকবে। আমরা অপ্রাসঙ্গিক কোনও বিষয়ে যাব না।’ পাল্টা কুণাল ঘোষের কথায়, ‘জ্যোতিবাবুকে নিয়ে গবেষণা সম্পূর্ণ করতে গেলে বেঙ্গল ল্যাম্প কেলেঙ্কারি, যতীন চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ইস্তফা, তৃণমূল কংগ্রেসের🎐 জন্ম এবং মমতাদির উত্থান সবই রাখতে হবে।♋ শুধু জন্ম–মৃত্যুর তারিখ দিয়ে তো আর গবেষণা হয় না।’