✅ মন্দ আবহাওয়ার জন্য প্রথম দিনে খেলা হয় মোটে ৪১.৩ ওভার। তা সত্ত্বেও আড়াই দিনে শেষ পাকিস্তান বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ মুলতান টেস্ট। পাকিস্তান বরাবর দুর্দান্ত সব পেসারদের হদিশ দিয়েছে ক্রিকেটবিশ্বকে। তবে ম্যাচ জেতার নেশায় মত্ত পাক ক্রিকেট বোর্ড পেস বোলিংকে কার্যত হিমঘরে পাঠানোর বন্দোবস্ত করে মুলতানে। স্পিনারদের বিরুদ্ধে নিজেদের ব্যাটিং বেকায়দায় পড়লেও পালটা স্পিন বোলিংয়েই বাজিমাত করেন শান মাসুদরা। সিরিজের লো-স্কোরিং প্রথম টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের ১২৭ রানে পরাজিত করে পাকিস্তান।
🍌মুলতানের ঘূর্ণি পিচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। পিচের পরিস্থিতি দেখে টেস্টের প্রথম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বল করতে পাঠায় বাঁ-হাতি স্পিনার গুড়াকেশ মোতিকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পালটা ব্যাট করতে নামলে পাকিস্তান নতুন বল তুলে দেয় অফ-স্পিনার সাজিদ খানের হাতে। এমনকি পাকিস্তান শেষ ইনিংসে কোনও পেসারকে বলই করায়নি। এই ঘটনাই বুঝিয়ে দিচ্ছে পিচের পরিস্থিতি কেমন ছিল।
𓆉পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২৩০ রানে। তারা ৬৮.৫ ওভার ব্যাট করে। মহম্মদ রিজওয়ান ৭১ ও সউদ শাকিল ৮৪ রান করেন। ৩টি উইকেট নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোমেল ওয়ারিকান।
⛎জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ১৩৭ রানে। তারা ২৫.২ ওভার ব্যাট করে। ১০ নম্বর ব্যাটার জোমেল ওয়ারিকান করেন অপরাজিত ৩১ রান। ২২ রান করেন ১১ নম্বর ব্যাটার জয়ডেন সিলস। পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ইনিংসে নোমান আলি ৫টি ও সাজিদ খান ৪টি উইকেট দখল করেন।
🍒প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৯৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ১৫৭ রানে। তারা সাকুল্যে ৪৬.৪ ওভার ব্যাট করে। ক্যাপ্টেন শান মাসুদ করেন ৫২ রান। বাবর আজম দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। জোমেল ওয়ারিকান ৭টি উইকেট দখল করেন। অর্থাৎ, তিনি দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১০টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
ꩵপ্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৫১ রানের। তারা ৩৬.৩ ওভারে ১২৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৫৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন আলিক আথানাজে। শেষ ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে ৫টি উইকেট নেন সাজিদ খান। ৪টি উইকেট দখল করেন আবরার আহমেদ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন সাজিদ খান।