বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কোনো খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড মাত✱্র। তবে আবার কখনো কখনো দেখা যায় যে, এইভাবে ছড়িয়ে পড়ে কিছু ভুয়ো খবরও। যেমন দিন দুই ধরে একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডয়ায় খুব ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, ‘হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অভিনেতা সুজন নীল’! আর এই পোস্ট দেখার পর, রীতিমতো মাথায় হাত ওঠে বাঙালির। কমেন্ট সেকশনে এসে অনেকেই অভিনেতার আরোগ্য কামনা করেছেন।
যদিও সুজয় নীল মুখোপাধ্যায় এই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার যে খবর, তা পুরোপুরি ভুল। বরং, অসুস্থ নীলের বাবা, প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব অরুণ মুখোপাধ্যায়। ৯ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্♕ষার পর ধরা পড়েছে যে, তাঁর হার্টে দুটি ব্লকেজ আছে। ১০ তারিখ হয়েছে অস্ত্রোপচার। বর্তমানে তিনি অনেকটাই স্থিতিশীল।
তাঁকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া এই খবর নিয়ে যোগাযোগ করা হলে🌞 নীল মুখোপাধ্যায় জানালেন, ‘আম💜াকে কয়েকজন পাঠিয়েছিল বটে। কী বলব বলো তো। বাবার শরীরখারাপ নিয়ে আমার কাছে ফোন এল, আমি বললাম। সেটাকে অপভ্রংশ করে, কোথা থেকে পেল জানি না।’
গোটা জিনিসটা নিয়ে বিরক্তিই ধরা পড়ল নীলের গলাতে। বললেন, ‘যে লিখছে… (একটু থেমে) জানি না কে লিখেছে, তারা তো একেবারে ছেলে মানুষের মতো করছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করে কী লাভ! এই সাংবাদিকতার কোনো অর্থ হয় না। আমাকে একজন বলেছিল এট🎉া নিয়ে ফেসবুকে লিখতে। আমিই আর লিখলম না। আমার খুব হাস্যকর লাগল। কদিন আগে বাবার জন্মদিনের সময়ও বাংলাদেশের একজন মেরেই ফেলল বাবাকে। তখন লিখেছিলাম যে আপনি এটা কী করলেন! আসলে উইকিপিডিয়া দেখে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু আমার কথা হল, উইকিপিডিয়ায় ভুল তথ্য তো থাকতেই পারে, লেখার আগে একটু ভেরিফাই তো করবেন…’
‘আমার কাছে এগুলো আসলে অশিক্ষার পরিচয়। সবসময় ভেরিফাই করে লেখা উচিত। আমার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এই খবর কী করে এল, আমি এখনও বুঝতে পারছি না! যদি ভেবে থাকে লোককে একটু চমকে দিলাম, বিভ্রান্ত করলাম, তাহলে সত্যিই কিছু বলার নেই! এখন ভাইরাল দুনিয়ায় ফেকের এত কদর হয়ে গিয়েছে, লোক এটা করেই আনন্দ পাচ্ছে। যে করেছে কোন সাইকোলজি থেকে করেছে বলা খুব মুশকিল। হতে পারে কেউ ইচ্ছে করে বা বদমাইশি করছে, এমনও হতে পারে খিল্লি করে করছে বা ভিউজের জন্য করছে। অনেকেই আমাকে ঘাবড়ে গিয়ে পাঠাচ্ছে। এরকম ভুল খবর আমাকে সত্যিই হতাশ করে।🎐 কারও মেন্টািলিটি যদি হয়ে থাকে, খবর নেই, চল একটা ফেক নিউজ করে দেই, তাহলে তো খুব মুশকিল। এটা হিউম্যানিটিতে আটকায়, আনএথিক্যাল।’, আরও বললেন সুজন নীল।