মার্কিন সংস্থা 'হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ' বন্ধ হয়ে যাওয়ার অর্ꦉথ এই নয় যে আদানি গোষ্ঠী কিংবা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'ক্লিন চিট' পেয়ে গেলেন। বৃহস্পতিবার এভাবেই এই ইস্যুতে সরব হলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
তিনি বলেন, ওই মার্কিন সংস্থা তাদের মত꧃ো করে সংস্থা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার অর্থ তো কখনই এটা হতে পারে না যে আদানি বা মোদী কোনও ভুল করেননি। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা ন্য়াট অ্য়ান্ডারসন তাঁর সংস্থা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে ভারতে কংগ্রেস ও বিজ🎉েপির মধ্য়েও নানা কথা চালাচালি চলছে।
তার মধ্য়েই বৃহস্পতিবার জয়রাম রমেশ বলেন, 'হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ হয়ে গেল বলেই 'মোদানি' (মোদী ও আদানি)-কে ক্লিন চিট দিয়ে দেওয়ার কোনও কারণ নেই। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে যে𓄧 হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট সামনে এসেছিল, তা এতটাই গুরুতর ছিল যে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয়েছিল। যে কমিটির কাজ ছিল আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা।'
জয়রাম রমেশ আরও জানান, ওই সময়ে, অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে হিনಞ্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়ে মোট ১০০টি প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে করেছিল কং❀গ্রেস। যার মধ্যে মাত্র ২১টি প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের ওই ১০০টি প্রশ্নের মধ্য়ে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতি এবং আদানি গোষ্ঠীকে একাধিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর ব꧒িক্রির সিুদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার জয়রাম🔴 বলেন, 'এই বিষয়টি অনেক বেশি গুরুতর। এখানে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছের মানুষকে সুবিধা করে দিতে ভারতের বিদেশ নীতির অপব্যবহার করা হয়েছে। এমনকী, তার জন্য জাতীয় স্বার্থও জলাঞ্জলি দেওয়া🔯 হয়েছে।'
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে একটি গোপন রিপোর্ট প্রকাশ্য়ে আনে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। সেই রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একাধি💯ক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। বলা হয়, আদানি গোষ্ঠী কৃত্রিম উপায়ে ও অসাধুভাবে বাজারে নিজেদের শেয়ারের দর বাড়িয়েছে। যদিও আদানি🅷 গোষ্ঠী এই সমস্ত অভিযোগ একবাক্যে খারিজ করে দেয়।
এদিকে, গত বুধবার ন্যাট অ্য়ান্ডারসন ঘোষণা করেন যে তিনি তাঁর সংস্থা বন্ধ করছেন। তাঁর দাবি, এই সিদ্ধান্ত আদতে 🦩একটি দীর্ঘমেয়া🦋দী পরিকল্পনার অংশ। যেখানে ঠিক করা হয়েছিল, বিভিন্ন পঞ্জি স্কিম-সহ নানা ধরনের আর্থিক দুর্নীতির পর্দাফাঁস করা হবে।