আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিশ্বের প্রত্যেকটি ভাষাকেই রক্ষা করার বার্তা দিলেন বাংল🐼াদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস। বাংলাদেশ নির্মাণের ইতিহাসে মাতৃভাষার গুরু🦩ত্বের কথাও মানলেন।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, যে মাতৃভাষাকে বাঁচানোর তাগিদে আস্ত স্বাধীন বাংল🧸াদেশ গড়ে উঠেছিল, 🐻যে স্বাধীনতা আন্দোলনকে আজকের - ইউনুসের বাংলাদেশ কার্যত ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে, সেই ইউনুসই এদিন জগৎজুড়ে সর্বত্র মাতৃভাষা রক্ষা করার ভাষণ দিলেন!
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ফ্রান্সের প্যারিস শহরে - ইউনেস্কোর সদর দফতরে। বাংলাদেশি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্🎉রতিবেদন অনুসারে, এদিনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগদান করেনღ ইউনুস।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি জাতি এবং প্রত্যেকটি মানবগোষ্ঠীকেই মাতৃভাষার গুরুত্ব বুঝতে হবে। তা না হলে 'সাসটেনেবল ডেভলপমেন্ট গোলস' বা এসডিজি (অর্থাৎ- স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা) অর্জন করা যাবে না। ইউনুস তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, বিশ্বের কোনও মাতৃভাষাই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়াট🅺া কখনও কাম্য হতে পারে না।
এদিন ভার্চুয়ালি আন্তর্জাতিক মঞ্চে বক্তৃতা দিতে গিয়ে 'থ্🌱রি জিরো তত্ত্ব'-এর কথাও উল্লেখ করেন মহম্মদ ইউনুস। তাঁর মতে, একজন মানুষের পরিচয়ের মূলে রয়েছে তাঁর মাতৃভাষা। তাই সকলকেই এর গুরুত্ব বুঝতে হবে। অন্যথায় থ্রি জিরো তত্ত্🍌ব সফল হবে না।
প্রসঙ্গত, থ্রি জিরো তত্ত্ব হল একটি আর্থ-সামাজিক মডেল। যা বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এখানে থ্রি জিরো বলতে তিন বিষয়কে জিরো বা শূন্যে নামিয়ে 🐽আনার কথা বলা হয়। সেগুলি হল - দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নির্গমন। তথ্যভিজ্ঞ মহল মনে করে, এই তত্ত্ব কার্যকর করতে পাারলেই আর্থ-সামাজিকভাবে শক্তিশালী হওয়া সম্ভব হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পাবে।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের প্রসঙ্গও টানেন মহম্মদ ইউনুস। তাঁকে উদ্ধৃত করে বাং🍎লাদেশি সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, 'মাতৃভাষাতেই অভ্যন্তরীণ অভিব্যক্তির যথার্থ প্রকাশ হয়। জু🧔লাই অভ্যুত্থান-সহ বাংলাদেশ নির্মাণের ইতিহাসে মাতৃভাষার বহিঃপ্রকাশ রয়েছে। ভাষায় জাতিগত, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকে। এর ফলেই জাতিগুলির মধ্যে এত বৈচিত্র্য দেখা যায়।'
ইꦅউনুস বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন জাতি ও সমাজের ঐতিহ্যগুলি অক্ষত রাখতে হলে মাতৃভাষা রক্ষা করতেই হবে। একটি ভাষাকেও বিলুপ্ত হতে দেওয়া যাবে না।
এর পাশাপাশি, উচ্চশি🦂ক্ষার প্রসারে তিনি ভাষা সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন বলেও দাবি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের। ইউনুস আশা প্রকাশ করেন, ইউনেস্কো পৃথিবীর প্রতিটি মাতৃভাষা𓃲র সংরক্ষণ ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।