ﷺমুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে কোনওভাবে মালদার স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল বহু পরিবার। কোনওরকমে নদীপথে পালিয়ে গিয়ে তারা মালদায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। এবার সেই ঘরছাড়া প্রতিনিধিদের একাংশ এসেছেন কলকাতায়। বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁদের নিয়ে ভবানী ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল🌺 সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়ারা। সেখানে সুকান্ত মজুমদারও ছিলেন। তাঁদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, তাঁদের বাড়ি ঘর কীভাবে ভাঙা হয়েছে, আগুন জ্বালানো হয়েছে রাজ্যপালের কাছে তাঁরা তার বিবরণ দেন।
সূত্রের খবর, কাল শুক্রবার মুর্শিদাবাদ🔯 ও মালদায় যাবেন রাজ্যপাল। বেদবোনাতেও যাবেন রাজ্যপাল। এমনটাই জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যপাল আজই মুর্শিদাবাদে রওনা হতে পারেন।
🔜রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন একথা জানার পরেই মুখ্য়মন্ত্রী কার্যত অনুরোধ করেন যেন এখনই রাজ্যপাল সেখানে না যান।
মমতাღ বলেন, আমি আবেদন করব কিছুদিন অপেক্ষা করুন। মহিলা কমিশনও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিন অপেক্ষা করার জন্য় বলেছি।…তিনি বলেন, বাইরে থেকে কেউ কেউ এসে অত্যাচারটা করেছে। তারা ভয় দেখাচ্ছে। ত্রিপুরায়, মণিপুরে যেতে বলুন হোম মিনিস্টারকে।
🍌মমতা বলেন, কেউ যেন আমরা গিয়ে লোকাল ছাড়া সিচুয়েশন কে কেউ যেন আমরা শান্তির বাতাবরণ যেটা ফিরে এসেছে, এখন কনফিডেন্সটা বিল্ড আপ করছে প্রশাসন।
🎉আমি যাচ্ছি না কেন? আমি গেলে অন্য়রা কেন যাবে না। আমি আবেদন করব আরও দুদিন অপেক্ষা করন।
মমতার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্ত বলেন, উনি যাচ্ছেন না কেন, ইমামদের নিয়ে মিটিং করছেন। আর ওখানে গেলেই অসুবিধা হচ্ছে? রাজ্যপালকে কেন বারণ করছেন তিনি কি লুকোতে চাইছেন কিছু? পুরো সত্য়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বলেন সুকান্ত মজুমদার।
🌠তিনি বলেন, মুখ্য়মন্ত্রী নিজে যেহেতু যেতে পারেননি সেকারণে তিনি যেতে বারণ করছেন। দাবি সুকান্ত মজুমদারের। এদের সবার বাড়িঘর, দোকান, মন্দির তৈরি করে দিতে হবে, চাকরির ব্যবস্থা করতে, সবথেকে বড় কথা বিএসএফ ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। এই সব দাবি আমরা রেখেছি। সুকান্ত বলেন, মিথ্যেবাদী মুখ্য়মন্ত্রী। আপনি যে কোনও মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন। পুলিশকে বলছে হাতে চুড়ি পরে থাকুন। আর বিএসএফকে বলছে ভগবান। ওখানকার মানুষ এইসব কথা বলছেন।
🦄তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অসংলগ্ন কথা বলছেন। দাবি সুকান্ত মজুমদারের। রাজ্যের যে গোয়েন্দা বিভাগ কী করছিল? তিন মাস ধরে যদি টাকা এসে থাকে তাহলে রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ কী করছিল? মুখ্যমন্ত্রীর উপর তাদের তো ভরসা ছিল। কিন্তু সেই ভরসার কী হল?আপনার উপর তো ভরসা করে ছিল।…আপনি মানুষের বিশ্বাস রাখতে পারেননি। হাওড়ার মানুষ ঠকেছেন। সন্দেশখালির মহিলারা ঠকেছেন। এখানকার মানুষ ঠকেছেন।