জেইই সেশন ওয়ান পরীক্ষা দিতে ২৬ জানুয়ারি কলকাতার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন অর্চিষ্মান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা,মা। পরীক্ষায় আর বাকি ছিল ৩ দিন। আর সেই ২৬ জানুয়ারি এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন তাঁরা। যদিও সেভাবে আহত হননি তাঁরা। দুর্ঘটনার সেই রেশ পার করে ২৯ জানুয়ারি পরীক্ষায় বসেছেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র অর্চিষ্মান।♈ আর ফ🐈লাফল ৯৯.৯৮৭৫৭ পার্সেন্টাইল! সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় টপারদের তালিকায় বাংলার অর্চিষ্মানও জায়গা দখল করে নিয়েছেন।
অর্চিষ্মানের প্রাথমিক পড়াশোনা বাংলা মিডিয়ামে। খড়গপুরের অর্চিষ্মান, চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের বারবেটিয়ার বাসিন্দা। প্রথমে বেলদা সংলগ্ন সাউড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু হয় অর্চিষ্মানের। এই স্কুলের অন্যতম প্রাক্তনী বিজ্ঞানী নারায়ণ চন্দ্র রানা। এদিকে, পরে চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের বারবেটিয়ায় বাস শুরু হলে অর্চিষ্মান ভর্তি হন খড়গপুরের সেন্ট অ্যাগনেস স্কুলে। সেখানে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পড়াশোনা চলেছে। এরপর খড়গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসের অন্দরে ডিএভি মডেল স্কুলে পড়াশোনা। আইসিএসইতে ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে পঞ্চম স্থান দখল করেন তিনি। এদিকে, চলছিল জয়েন্টের প্রস্তুতি। অঙ্ক, আর পদার্থবিদ্যা, এই দুই হল অর্চিষ্মানের পছন্দের বিষয়। এইচটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন,' আমি সবসময় অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যা ভালোবাসি। আমি আইআইটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং করতে চাই। বিটেক শেষ করার পর আমি গবেষণা করতে চাই। সেটা জেইই মেইন স্কোরের উপর নির্ভর করবে। এখন আমি মেইন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।' তিনি বলছেন,'আমি ২৯০ থেকে ৩০০ নম্বর আশা করেছিলাম। ফলাফলে আমি খুশি।' জেইই সেশন ২ পরীক্ষায় যাঁরা 𒀰১০০ পার্সেন্টাইল নিয়ে স্টেট টপার হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অর্চিষ্মান একজন। অর্চিষ্মানের স্বপ্ন আইআইটি খড়গপুরে পড়াশোনা। তাঁর দাদুই দেশের ওই তাবড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনী। বাবা, এক ওষুধ সংস্থার কর্মী। মা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।
শুধু পড়াশোনা নয়। ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন𝄹েও মন রয়েছে অর্চিষ্মানের। বলছেন,' আমি খেলতে ভালোবাসি এবং প্রতিদিন দুপুরে স্থানীয় বাচ্চাদের সাথে এক থেকে দেড় ঘন্টা খেলি। স্থানীয় মাঠে যখনই কোনও খেলাধুলা বা খেলার অনুষ্ঠান হয়, তখনই আমাকে মাঠে খুঁজে পাবেন।' পড়াশোনার অভ্যাস কেমন ছিল? অর্চিষ্মানের উত্তর,' আমার কোনও নির্দিষ্ট দৈনন্দিন রুটিন ছিল না যা আমি অনুসরণ করতাম। যখনই আমার ইচ্ছা হত আমি পড়াশোনা করতাম। যদিও লক্ষ্🐠য স্থির ছিল।' মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র বলছেন, বেশ কিছু অনলাইন কোর্স তাঁকে সাহায্য করেছে। পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলছেন,'আমি NCERT সিলেবাস পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করেছি এবং বিগত বছরের প্রশ্নগুলি সমাধান করেছি।' আইআইটি নিয়ে কী ভাবনা? উত্তর এল,'আইআইটি মুম্বাইতে পড়াশোনা করা প্রতিটি আইআইটি আগ্রহীর স্বপ্ন। কিন্তু আমার দাদু যেহেতু আইআইটি খড়গপুরের প্রাক্তন ছাত্র, তাই আমি আইআইটি খড়গপুরে পড়তে চাই। তিনি আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছিলেন। আমি একজন বিজ্ঞানী হতে চাই।'