আর্কাদাগ ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়রা করে দেখালেন। কার্যত অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখালেন তাঁরা। কলকাতায় এসে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বিরুদ্ধে নিজেদের উজার করে দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই ম্যাচে জিতেছিল অ্যাওয়ে ক্লাবই। এরপর নিজেদের ভালো পারফরমেন্স জারি রেখে এবার এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ফাইনালেও পৌঁছে গেল আর্কাদাগ। সেমিফাইনালের🅘 দুই লেগ মিলিয়ে অ্যাগ্রিগেটের বিচারের কুয়েতের শক্তিশালী ক্লাব আল আরাবিকে হারিয়ে দিল তুর্কমেনিস্তানের এই দল। দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে থাকার সুবাদেই ফাইনালে জায়গা করল আর্কাদাগ।
কুয়েতে গিয়ে ২ গোলে হার
এক সপ্তাহ আগেই কুয়েত সিটিতে ২ গোলে হেরেছিল আর্কাদাগ। ২-০ গোলে সেই ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছিল আর আরাবি দল। ফলে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে তাঁদের জিততেই হত ২ গোলের ব্যবধানে। সেটাই তাঁরা করে দেখালেন। চলতি বছরে দ্বিতীয়বার আর্কাদাগের ছোট্ট শহরে আন্তর্জাতিক ম্যাচের আসর বসল। এর আগে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা সেখানে খেলতে গেছিলেন। সেই ম্যাচে ভারতের দলকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল আর্কাদাগ।
আর্কাদাগের ফুটবলাররা জয়ের লক্ষ্যে মরিয়া ছিল
সেমিফাইনাল ম্যাচের এক দিন আগেই আর্কাদাগের ফুটবলার🐟, কোচ জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা ২ গোলের ব্যবধান মুছে ফেলতে মরিয়া হয়ে রয়েছেন সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে। আর সেটাই তাঁরা করে দেখালেন। ১০ হাজার দর্শকাসনের স্টেডিয়াম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের মতোই কানায় কানায় পূর্ণ ছিল এদিন।
৩-০ গোলে জিতল আর্দাকাগ
সেই ম্যাচে🔴 শুরু থেকেই ভ্লাডিমির বায়রামভের ছেলেরা দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করে। কারণ ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই শানাজার তিরকিশভের গোলে এগিয়ে যায় তুর্কমেনিস্তানের দলটি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আলটিমাইরাত আন্নাদুর্দিয়েভ গোল করেন কুয়েতের দলটির বিরুদ্ধে। তাতেই অ্যাগ্রিগেটের বিচারে দুই দল একই জায়গায় চলে আসে। এর পর ম্যাচের একদম অন্তিম লগ্নে আসে কাঙ্খিত গোল।
৯৪ মিনিটের মাথায় আরও একটি গোল💫 করেন শানাজার তিরকিশভ। সেই গোলের সুবাদেই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ফাইনালে পৌঁছে যায় এফকে আর্কাদাগ। যদিও তাঁদের ফাইনাল ম্যাচের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হয়নি এখনও। কম্বোডিয়া অথবা ইন্দোনেশিয়ার দলের বিরুদ্ধে তাঁদের ফাইনালে খেলতে দেখা যাবে। সেই ম্যাচ হবে ১০ মে, এখনও ফাইনালের ভেনু চূড়ান্ত হয়নি।
এএফসি𝔍 চ্যালেঞ্জ লিগ হল এএফসির তৃতীয় সর্বোচ্চ ক্লাব প্রতিযোগিতা। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ওয়ান এবং এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু হল এশিয়ার ক্লাব প্রতিযোগিতার মধ্যে প্রথম এবং দ্বিতীয় সেরা। এই ক্লাব প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয় বিভিন্ন এশিয়ার দলকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য। আর্কাদাফ দল ফাইনালে উঠতেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও হাত কামড়াচ্ছেন, কারণ তাঁরা বেশ লড়াই করেই হেরেছেন। অর্থাৎ খারাপভাবে যে হারতে হয়েছিল তেমনটা নয়। অর্থাৎ সমর্থকদের আশা, ফুটবলাররা তুর্কমেনিস্তানে গিয়েও ভালোই লড়াই দিয়েছিল।