൲ আজ, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে শুরু করে বুধবার সকাল পর্যন্ত রয়েছে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানের সময়সীমা। কিন্তু সেই সময় শুরুর আগে থেকেই সাগর স্নানে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকেই সাগর স্নানে এসেছেন পুন্যার্থীরা। সংক্রান্তি তিথির ভিড় এড়াতেই তাঁরা আগে থেকে সাগর স্নান সেরে কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশ জুড়ে যেমন মহাকুম্ভ মেলাকে নিয়ে জনজোয়ার দেখা গিয়েছে, তেমমই জনস্রোত দেখা গেল গঙ্গাসাগর মেলাতেও। আজ মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে এসে মকর স্নান সারছেন অগণিত ভক্তবৃন্দ। তবে এখনও পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
✱এদিকে ঠাণ্ডার পরিমাণ কিছুটা কম থাকলেও ভোরে ঠাণ্ডা ছিল যথেষ্ট। তবে মকর স্নানের তাগিদে সেই ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করে গঙ্গাসাগরে ডুব দেন অসংখ্য ভক্ত। আজই যেহেতু মকর সংক্রান্তি তাই ভোররাত থেকে ভিড় উপচে পড়ে সাগরে। বহু মানুষ এই মকর সংক্রান্তির স্নান উপলক্ষ্যে গঙ্গাসাগর মেলায় এসেছেন বলেই মনে করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। রবিবার মৃত্যু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা অবদেশ তিওয়ারির। সোমবার আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার মহাকুম্ভের কারণে সাগর মেলায় তুলনামূলক ভিড় কম হওয়ার কথা। কিন্তু সাধু–সন্তরাও যথেষ্ট পরিমাণে এসেছেন। আর তার সঙ্গে পুন্যার্থীদের ভিড় এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমাণে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরযাত্রী বোঝাই একটি বাসে সর্বস্ব লুঠ করে গা–ঢাকা ভিন রাজ্যে, ধরল বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ
অন্যদিকে এই বিপুল পরিমাণ মানুষকে সামাল দিতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। ১৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রচুর সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মেগা কন্ট্রোল রুম থেকে কলকাতার আউটট্রাম ঘাট–গঙ্গাসাগর মেলা পর্যন্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে। আজ ভোরবেলা থেকেই শুরু হয়েছে পূণ্যস্নান। বেশির ভাগ মানুষ ভোরেই পূণ্যস্নান সেরে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেন।♍ সূর্য পুজোর মধ্যে দিয়ে লাখো লাখো ভক্ত পূণ্য অর্জন করতে ডুব দেন গঙ্গাসাগরে। প্রশাসন সূত্রে খবর, পয়লা জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪২ লক্ষ মানুষ সাগরে এসেছেন।
এছাড়া আজ আরও বহু মানুষ এই মকর সংক্রান্তির স্নান উপলক্ষ্যে মেলায় এসেছেন বলে দাবি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের। তাই সকাল থেকে শুরু হয়েছে পূর্ণ পুণ্যস্নান। যা দুপুর পর্যন্ত চলে। গঙ্গাসাগরকে বলা হয়ে থাকে ‘মিনি ভারত’। কারণ প্রত্যেক বছর বহু ভাষাভাষি মানুষের সহাবস্থান হয়ে ওঠে গঙ্গাসাগর। দূর দূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা। এই বছর মহাকুম্ভ মেলা থাকায় খানিকটা ভক্তদের চাপ কম থাকবে ভাবা হলেও সেটা হয়নি। 🌃আজকের সংখ্যা যোগ করলে প্রায় ৫৫ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জাতীয় বিপর্যয় বাহিনী এবং নৌবাহিনীর কর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন। সঙ্গে আছে ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব।